ধর্ষিতার হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি রের্কড সম্পন্ন

ফলোআপ: আলমডাঙ্গার ভোলারদাড়ি গ্রামে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষ

 

মোমিনপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের ভোলারদাড়ি গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ধর্ষিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি রের্কড করা সম্পন্ন হয়েছে। গতপরশু শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযুক্ত ধর্ষক লম্পট দু সন্তানের জনক জিল্লুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড সম্পন্ন হয়। প্রভাবশালী আসামি ধর্ষক জিল্লুরকে বাঁচাতে এলাকার প্রভাবশালী একটি গ্রুপ ইতোমধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদীপক্ষের অভিযোগ, মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন হুমকি-ধামকিসহ চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। হতদরিদ্র অসহায় ধর্ষিতার পরিবার মামলা করে এখন বিপদে পড়েছে। ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে জানান, আপস করার জন্য এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিপক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভোলারদাড়ি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে গত শুক্রবার দুপুরে তাদের বাড়ির নিকটবর্তী ক্যানালের ওপর থেকে একই গ্রামের মাঝের পাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে দু সন্তানের জনক লম্পট জিল্লুর রহমান (৩০) ছাত্রীর হাত ধরে টানতে টানতে ক্যানালের পাশে বোরহানের পানের বরজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার এসআই পিয়ার আলী গতকাল রোববার বিকেলে মাথাভাঙ্গাকে জানান, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা এবং ২২ ধারায় জবানবন্দি রের্কড সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

Leave a comment