স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জালনোটের চোরাচালান প্রতিরোধে শিগগিরই দু দেশের মধ্যে একটি সমাঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। সম্প্রতি দু দেশের সীমান্তে জাল রুপির অবাধ চোরাচালানে উদ্বিগ্ন ভারত এ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন দিল্লিতে দু দিনব্যাপী ভারত-বাংলোদেশ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং। ভারতের অভজারভার রিচার্স ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইস ইনস্টিটিউট এ বৈঠকের আয়োজন করে। সুজাতা সিং বলেন, জাল নোটের সমস্যা সমাধানে গেল জানুয়ারি মাসে টাস্ক ফোর্সের প্রথমসভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ব্যাপারে সুজাতা বলেন, গত পাঁচ বছরে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ট নিবিড় হয়েছে। ভবিষ্যতেও সেই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ২০০৭-০৮ সালে দু দেশের মধ্যে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক লেনদেন হয়েছিলো। কিন্তু ২০১২-১৩ সালে সেই পরিমাণটা বেড়ে ৫.৩ বিলিয়ন ডলারে পোঁছেছে। এক সময় দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ছিলো ভারতের সবচেয়ে বড় বিজনেস পার্টনার। এখন বাংলাদেশ সেই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। আর এই পরিসংখ্যান বলে দেয় যে দু দেশের মধ্যে সম্পর্ক কতটুকু উন্নত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতের সাবেক কূটনীতিক পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের ড. জয়িতা ভট্টাচার্যসহ বেশ কয়েকজন বক্তা।