আলমডাঙ্গায় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর চোখের কার্নিয়া নষ্ট

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আবারও অঘটন ঘটিয়েছে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়া গ্রামের ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ রফিকুল ইসলাম। এবার তার বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা করে এক গৃহবধূর চোখের কর্নিয়া নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার রফিকুল ইসলাম চিকিৎসার বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকা সত্বেও তিনি এখন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে তমা চক্ষু ও কান চিকিৎসালয় নামে ক্লিনিক ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। গত ১৩ নভেম্বর উপজেলার বকশিপুরের রবিউল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুনের চোখ লালসহ চুলকানি হলে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে রফিকুল ইসলামের ক্লিনিকে যান। ওই সময় রফিকুল ইসলাম আবেদা খাতুনের চোখে কিছু ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে আরও কিছু খাবার ওষুধ লিখে দেন। বাড়ি ফিরে আবেদা খাতুনের চোখের যন্ত্রণা তীব্র হলে ২ দিন পর তাকে আবারও রফিকুল ইসলামের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। রফিকুল ইসলাম সে সময় আবেদা খাতুনের চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দিয়ে পুনরায় চোখে কিছু ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়ি ফিরে এবারও আবেদা খাতুনের চোখে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হলে উপায়ান্তর না দেখে আবেদা খাতুনকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এএসএন আমিনুল হকের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আবেদা খাতুনের চোখ পরীক্ষা করে দেখতে পান ভুল চিকিৎসার কারণে আবেদা খাতুনের চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি প্রতারক ভুয়া চক্ষু বিশেষজ্ঞ রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না করে পালিয়ে যান। পরে আবেদা খাতুনকে দ্রুত ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করানো হয়। অন্য চোখকে ক্ষতিগ্রস্ততার হাত থেকে বাঁচাতে এক চোখের সাথে অন্য চোখের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এলাকাসূত্রে ভুয়া বিশেষজ্ঞ রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে এলাকায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা তিনি অতীতে অনেক ঘটিয়েছেন। একাধিকবার তিনি জেলও খেটেছেন। ঢাকার ছেলে রফিকুল ইসলাম প্রায় ২৫ বছর পূর্বে কুষ্টিয়ার ইবি থানার নরহরদিয়া গ্রামে বিয়ে করে এ এলাকাতে বসবাস শুরু করেন। আলমডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে সে সময় তিনি ক্লিনিক ব্যবসা করতেন।