স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রীর সাথে বিশেষ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন শরীফুর রহমান নামের এক যুবক। লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খুলতে না পারা ভুক্তভোগী ওই তরুণী প্রতিকারের আশায় নিয়েছে আইনের আশ্রয়। শরীফকে অভিযুক্ত করে গত বুধবার ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন (২০০২)’-এর ধারায় মামলা করেছে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায়। ওইদিনই শরীফকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারক স্বামী শরীফ এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। জানা গেছে শরীফের নির্মম লালসা ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভুক্তভোগী তরুণী যাত্রাবাড়ীতে তার বাসায় একপ্রকার বন্দি জীবনযাপন করছেন।
শেরেবাংলানগর থানা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শরীফুর রহমান (২৪)। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার দক্ষিণ বারগাঁও গ্রামে। ঢাকায় বাস করে ৪৮ শুক্রাবাদে। তার সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে দু বছর আগে ভালাবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ‘ল’ আদ্যক্ষরের এক শিক্ষার্থী (২২)। শরীফকে বিশ্বাস করে মনপ্রাণ উজাড় করে দেয় ওই তরুণী। ২০১৩ সালের ৭ই জুলাই দু পরিবারকে না জানিয়ে ঢাকার একটি কাজী অফিসে বিয়ে করেন তারা। দু পরিবারের অগোচরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শরীফ ও ওই তরুণী একত্রে থাকতেন। ৪৮ শুক্রাবাদসহ নানা জায়গায় নিয়মিত তারা রাত কাটাতেন। তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি কৌশলে ভিডিওতে ধারণ করে শরীফ। বিয়ের মাত্র কিছুদিনের মধ্যে তাদের মেলামেশা ও বিয়ের বিষয়টি দু পরিবার জেনে যায়। তরুণীর পরিবার শরীফকে মানতে অস্বীকার করে। এ কারণে শরীফের জিঘাংসা বেড়ে যায়। ভিডিওচিত্র সহ বিভিন্ন কারণে বিয়ের কিছুদিন পরেই শরীফের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে তরুণীর। জানতে পারে শরীফের সাথে আরও অনেক মেয়ের যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে। এতেই প্রতারক শরীফের আসল চেহারা প্রকাশ পেতে থাকে।