জেলা ও উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিসের কর্মকর্তাদের অবহেলা : বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন
মেহেরপুর অফিস: পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনে আর চলতে পারছেন না জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৩০ জন শিক্ষক। মানবেতর জীবনযাপনসহ তাদের লাঞ্ছনা ভোগ করতে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় জাতীয়করণকৃত সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর সদর উপজেলার ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭০ জন, গাংনী উপজেলার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১২ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষক ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৬ মাসের বেতন-ভাতা পাননি। দীর্ঘসময় বেতন ভাতা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জেলা ও উপজেলা হিসাররক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা ও অবহেলায় শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে না বলে তারা জানান।
হিসাবরক্ষণ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য সরকার সুনির্দিষ্টি নীতিমালা না করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করলে বেতন দেয়া হবে। এদিকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ছাড়করণের বিষয় নিয়ে মুজিবনগর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আরাধন কুমার দাসের সাথে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনি শিক্ষকদের বেতন বিল নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন এবং জেলার অন্যান্য উপজেলার কর্মকর্তাদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নানা কারণে হিসাবরক্ষণ অফিসাররা কালক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম তৌফিকুজ্জামান জানান, নতুন প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের বেতন দেয়া হবে। এজন্য একটু দেরি হচ্ছে। এক সপ্তার মধ্যে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি কোমর আলী বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়া না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবেন। তার অংশ হিসেবে বেতন-ভাতা না পেলে শিক্ষকরা আগামী রোববার বিকেলে মেহেরপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের সামনে অবস্থান নেবেন।