গাংনী প্রতিনিধি: আশা এনজিও’র ১০ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় জামাল উদ্দীন (৩০) নামের কৃষককে যেতে হলো শ্রীঘরে। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গতকাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করে। ঋণ খেলাপির দায়ে আশা সমিতির দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কৃষক জামাল উদ্দীন গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের খেদ আলীর ছেলে।
কৃষক জামালের পরিবারের অভিযোগ, ক্ষেতের ফসল উৎপাদনের জন্য জামাল আশা এনজিও’র গাংনী উপজলোর মোহাম্মদপুর শাখা থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ৬ মাস যাবত তিনি ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু জামালের এ প্রতিশ্রুতি মানতে নারাজ শাখা ব্যবস্থাপক। সম্প্রতি মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। গত ২৫ মে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে থানা সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আশা এনজিও মোহাম্মদপুর শাখা ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান জানান, ঋণ খেলাপি জামালকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও কোনো কর্ণপাত করেনি। বরং সমিতির লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিতেন।