৭৩ উপজেলায় ভোট কাল : এবার বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বেশি
উত্সবমুখর পরিবেশে ভোট শুরু হলেও বেড়েই চলেছে কেন্দ্র দখল ও সহিংসতা
প্রচার শেষে এখন উদ্বেগ আর উত্কণ্ঠার মধ্যে ভোটের অপেক্ষায় পঞ্চম ধাপের ৭৩ উপজেলার প্রায় দেড় কোটি ভোটার। প্রস্তুতি শেষ করলেও সহিংসতার আশঙ্কায় কিছুটা শঙ্কিত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম দিকে উত্সবমুখর পরিবেশে ভোট শুরু হলেও শেষ দিকে বেড়েই চলেছে কেন্দ্র দখল ও সহিংসতা। কমিশনের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও চতুর্থ ধাপে সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। পঞ্চম ধাপেও বিভিন্ন উপজেলায় সরকার সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের হুমকি-ধামকিতে আতঙ্কে রয়েছেন বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটাররা। প্রকাশ্যে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে অনেক স্থানে। কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। তৃতীয় ধাপে সহিংসতার কারণে বন্ধ হওয়া গাজীপুরের শ্রীপুরের নির্বাচনও কাল অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এবারের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে কমিশনের দিক থেকে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। তবে প্রার্থী, ভোটার ও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ এবং সর্বোপরি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ছাড়া সহিংসতা রোধ সম্ভব নয়। প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের লড়াইয়ের কারণে এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে অনুষ্ঠিত চারটি ধাপের নির্বাচনে বিএনপি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনলেও এ ধাপের সবগুলোতেই তাদের সমর্থিত প্রার্থী রয়েছে। এর আগে গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের দিন বেশকিছু উপজেলা থেকে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে আগামীকালের নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে ৩৪ উপজেলায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের রয়েছে ৩১ উপজেলায়। ভোটার, প্রার্থী ও ভোটকক্ষ পঞ্চম ধাপের ৩৪ জেলার ৭৩ উপজেলায় এক হাজার ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬৪ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২০ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮০ জন, নারী ভোটার ৭১ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৩ জন। ভোট কেন্দে র সংখ্যা ৫ হাজার ৭০৩টি, ভোটকক্ষ ৩৫ হাজার ৯৪১টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৫ হাজার ৭০৩ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৫ হাজার ৯৪১ জন। পোলিং অফিসার সংখ্যা ৭১ হাজার ৮৮২ জন।