কর্তৃপক্ষের আদেশ নিষেধ অমান্য করে যেখানে সেখানে পোস্টারিং

 

আপত্তিকর পোস্টারিঙের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

উজ্জ্বল মাসুদ: দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ ! অনুরোধক্রমে কর্তৃপক্ষ। এমনটিই লেখা আছে সরকারিসহ বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের   দেয়ালে। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, আদালত চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও হরহামেশা মারা হচ্ছে পোস্টার। রাজতৈনিক পোস্টার, নির্বাচনের পোস্টার ও বিভিন্ন হারবাল কোম্পানির ওষুধের আপত্তিকর পোস্টারে ভর্তি থাকে দেয়াল। এমনকি  হাসপাতালের স্বাস্থ্যবার্তা লেখার বোর্ডেও পোস্টার সাঁটা আছে অসংখ্য। চুয়াডাঙ্গা আদালত চত্বরে ঢুকতেই আদালত ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ বিজ্ঞপ্তি লেখা থাকলেও আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সাঁটা হচ্ছে রঙবেরঙের পোস্টার। মজার ব্যাপার হলো, দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ, বা আদেশ যাই থাকুক না কেন, পোস্টার লাগালে কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নিজর নেই। এ কারণেই আদালতের আধেশ পর্যন্তও তোয়াক্কা না করে পোস্টার লাগানো হয় আদালত ভবনের দেয়ালেও।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকতেই বাইরের দেয়ালে লেখা আছে দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ, অনুরোধক্রমে মেয়র, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। কিন্তু সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির ঠিক পাশেই রয়েছে অসংখ্য পোস্টার। যার বেশীরভাগই উপজেলা নির্বাচনের প্রচারÑপ্রচারণা। ওষুধ কোম্পানির প্রচার। জনপ্রতিনিধিদের নানা শুভেচ্ছা। শুধু হাসপাতালের বাইরেই নয় ভেতরের দেয়ালেও রয়েছে পোস্টার। যার বেশির ভাগ বিভিন্ন ওষুধ  কোম্পানির প্রচারণা। অনেকেই জানান, এসব পোস্টারিং করানো হয় শিশু-কিশোরদের দিয়ে। ফলে যেখানে সেখানেই পোস্টারগুলো মারা হয়। অল্প কিছু টাকা আর সিগারেট-বিড়ির লোভে কিছু টোকাই ও নেশাখোর এ পোস্টার মারার দায়িত্ব পালন করে থাকে বলে অনেকেই জানায়। চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনের দেয়ালের কোথাও ফাঁকা নেই। বিভিন্ন পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে স্টেশনের প্লাটফর্ম ও দেয়াল। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পাঁচিলেও শোভা পাচ্ছে শ শ পোস্টার।

চুয়াডাঙ্গা শহরে বের হলেই চোখে পড়ে হরেক কিছিমের পোস্টার। এ গুলো নির্দিষ্ট স্থানে মারা নয়। বিক্ষিপ্তভাবে যেখানে সেখানে মারা রয়েছে। বিশেষ করে পৌর এলাকার স্কুল-কলেজগুলোতে ঢুকতেই চোখে পড়ে পোস্টার। এসব পোস্টারের মধ্যে রয়েছে কিছু আপত্তিকর ও অশ্লীল পোস্টার। সেই সাথে রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন দোকানের সন্নিকটে সিনেমার অশ্লীল পোস্টার চোখে পড়ে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা চলার পথে এসব পোস্টার দেখে বিব্রত হয়। সব মিলিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের যেখানে সেখানে পোস্টারিং না করার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী সচেতন মহল।

Leave a comment