স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশকে সহজেই ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনের তিন ম্যাচে টানা তৃতীয় জয়ে ভারতের পয়েন্ট ৬। আর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারা বাংলাদেশের পয়েন্ট শূন্য। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির অর্ধশতকে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। অবশ্য ১৩ রানেই শিখর ধাওয়ানের বিদায়ে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত শর্মার সাথে বিরাট কোহলির ১০০ রানের চমৎকার জুটির সৌজন্যে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে যায় ভারত। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে রোহিত নাসির হোসেনের ক্যাচে পরিণত হলে ভাঙে ৭৫ বল স্থায়ী জুটি। ২৬ ও ৩০ রানে দুবার ‘জীবন’ পাওয়া রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। তার ৪৪ বলের ইনিংসে ছিলো ৫টি চার ও ১টি ছক্কা।
রোহিতের বিদায়ের পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (অপরাজিত ২২) নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন কোহলি (অপরাজিত ৫৭)। তার ৫০ বলের ইনিংসে ছিলো ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। এর আগে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত ৬ রানে ধাওয়ানের ব্যর্থতায় রান-আউটের হাত থেকে বেঁচে গেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তামিম ইকবাল। আর কোনো রান যোগ না করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে স্লিপে সুরেশ রায়নার ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন তিনি। দলে ফিরে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ শামসুর রহমান। প্রথম বলটিই সুইপ করে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে রোহিত শর্মার হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। পরপর দু বলে তামিম ও শামসুরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো অশ্বিনকে হতাশ করেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেশিক্ষণ টেকেননি এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ভুবনেশ্বর কুমারের করা পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে সাকিব বিদায় নিলে স্বাগতিকদের স্কোর পরিণত হয় ২১/৩ এ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সাথে এনামুল হকের ৪৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। মুশফিকের বাজে একটি শটে ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ জুটি। অমিত মিশ্রর গুগলি বুঝতে পারলেও টার্নের কারণে ঠিকভাবে খেলতে না পেরে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন এনামুল। ৪৪ রান করা ডানহাতি এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ৪৩ বলের ইনিংসে ছিলো ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। ষষ্ঠ উইকেটে নাসির হোসেনের সাথে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ। এক প্রান্তে তিনি দ্রুত রান তুললেও অন্য প্রান্তে রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছিল এক ম্যাচ পর দলে ফেরা নাসিরকে। মিশ্রর করা শেষ ওভারের প্রথম বলে নাসির স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলে ভাঙে ৩১ বল স্থায়ী জুটি। পরের বলেই লংঅফে ক্যাচ দিয়ে জিয়াউর রহমান বিদায়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে মিশ্রর। তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। তার ২৩ বলের ইনিংসে ছিলো ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষ বলে ছক্কা হাঁকানো মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লেগস্পিনার মিশ্রই ভারতের সেরা বোলার। অফস্পিনার অশ্বিন ২ উইকেট নেন ১৫ রানে। ম্যাচসেরা: রোহিত শর্মা