শৈলকুপার কাতলাগাড়ি কলেজে বেশুমার নিয়োগ বাণিজ্য

 

শৈলকুপা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কাতলাগাড়ি ডিগ্রি কলেজে লাখ লাখ টাকার বেশুমার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চাকরি প্রত্যাশী এক প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কলেজ অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমান স্থানীয় একটি দালালচক্রের হোতা ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নানের যোগসাজসে ৩টি প্রভাষক পদে ১৮ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের পাঁয়তাড়া চালাচ্ছে। সারুটিয়া ইউনিয়নের সচেতন জনরোষে পড়ে ডিজি প্রতিনিধি দল ফেরত যাওয়ায় নিয়োগ বোর্ড ভণ্ডুল হয়েছে।

চাকরি প্রত্যাশী শাহ আলমের অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্র“য়ারি ঢাকার একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় নিয়ম বহির্ভুত পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা গোপন করা হয়। ৩টি প্রভাষক পদের বাংলায় ইতি বসু যিনি ডিগ্রি শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন, ইংরেজিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ব্যবস্থাপনায় হৃদয় উজ্জামান নামে তিন প্রার্থীর নিকট থেকে দীর্ঘদিন আগেই ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে এ নিয়োগ দিতে গেলে সচেতনমহলের বাধার মুখে বাতিল হওয়া পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গতকাল বেলা ১টায় কাতলাগাড়ি ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বোর্ড ছিলো। এলাকাবাসীর জনরোষে পড়ে নিয়োগবোর্ড ভন্ডুল হয়েছে। এদিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো চাকুরী প্রত্যাশী শাহ আলমের আইনজীবি এ্যাড বিপ্লব হোসেন জানান, নিয়োগবোর্ডে বিষয়ভিত্তিক ডিজি প্রতিনিধি নিজ জেলায় পাওয়া গেলে অন্য জেলা থেকে নেওয়া যাবেনা কিন্তুু অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমান নিয়োগ বোর্ডের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে বিষয়টি না জানিয়ে যশোর এম.এম কলেজ থেকে বাংলা ও ইংরেজি প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন যা সম্পর্ণ অবৈধ। এছাড়া কোন বিশেষ প্রার্থীর সুবিধামত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ উদ্দেশ্যমূলক এবং বিধি বহির্ভূত বলে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন ও স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগবোর্ডের আশা করে আবেদন করেছেন। ব্যবস্থাপনা বিষয়ের চাকুরীপ্রার্থী রেজা মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ৬ লাখ টাকা নিয়ে পূর্বেই হৃদয়উজ্জামানকে ঠিক করা হয়েছে বলেই তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমান জানান, বিজ্ঞাপন গোপন করা হয়নি এবং পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগে পাঁয়তাড়া চালানো ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তবে কেন আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও গোপনে যশোর থেকে ডিজি প্রতিনিধি ঠিক করা হলো তা বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই তবে সচেতন চাকরিপ্রত্যাশীদের জনরোষে পড়ে নিয়োগবোর্ড ভণ্ডুল হয়েছে বলে লোকমুখে খবর পেয়েছি।