চাঁদাবাজি মামলা : খাসকররা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লাল গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা পশুহাট ইজারাদার হাসানুজ্জামানের নিকট মোবাইলফোনে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি : পুলিশে নালিশ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাফসির আহমেদ লালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলেছে, তাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা পশুহাট ইজরা ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামানের দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

এজাহারসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পশুহাট মালিক কৃষ্ণপুর গ্রামের নায়েব আলির ছেলে হাসানুজ্জামানকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ও গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি মোবাইলফোন নম্বর থেকে তাকে রিং করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। পূর্ববাংলা এমএল এ জনযুদ্ধের নেতা বেনজির আহমেদ বিজয় পরিচয় দিয়ে ওই চাঁদার টাকা দাবি করা হয়েছে। কখনও মোবাইলফোনে হুমকি দিয়ে আবার কখনও এসএমএসের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে আমাদের পার্টি এমএলএ জনযুদ্ধের আদালতে আপনার হত্যার রায় কার্যকর হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে যেকোন দিন যে কোনো সময় পার্টির আত্মঘাতী সোলজাররা আপনার হত্যা বাস্তবায়ন করবেই করবেই। আর যদি ব্যাটে বলে আপনার উইকেট না পড়ে তাহলে আপনার ভাই না হলে আপনার। আবার গত ১৪ মার্চে এসএমএসে জানানো হয়েছে ‘আমরা আজ জনযুদ্ধের বিসিএস ক্যাডার হয়েছি। এদেশে আরো খেলা দেখতে পারবেন। তাই এখন আমরা অর্থ আর হত্যা ছাড়া কিছুই বুঝি না। কোনো অশিক্ষিত সোলজার আমার পার্টিতে নেই। আমার সাথে কথা বলে দ্রুত টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।’ এই এসএমএস ও মোবাইলফোনে চাঁদা দাবির বিষয়ে হাসানুজ্জামান থানা পুলিশকে লিখিত জানায়। পুলিশ চাঁদাদাবি করা মোবাইল সিম নম্বর থেকে অন্য যাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিলো সেই সব নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে চাঁদাবাজের একটি সিম নম্বরের কললিস্টে একটি নম্বর লাল চেয়ারম্যানের নিশ্চিত হয়। গতকাল দুপুরে তাকে রিং দিয়ে থানায় ডাকা হয়। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে হাসানুজ্জামান থানায় চাঁদাবাজির ঘটনায় লাল চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে একটি এজাহার দায়ের করে।

এদিকে, লালকে গ্রেফতারকারী এসআই জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, পশুহাট মালিক হান্নানের নিকট যে মোবাইলফোনে চাঁদাদাবি করা হয়েছিলো, সেই মোবাইল ফোনের সিমের কল লিস্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে সিম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করা হয়েছিলো সেই একই সিম নম্বর থেকে প্রায় দেড় মাস পূর্বে লাল চেয়ারম্যানের সাথে ৩ বার কথা হয়েছে। চাঁদাবাজি করার নির্দিষ্ট সিমধারীকে লাল চেনেন কি-না তা জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে লাল চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনরা মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে লালকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। কিছুদিন যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুল আবেদীন খোকনের সাথে রাজনৈতিক কর্মকণ্ড করেছিলো তাফছির আহম্মেদ মল্লিক লাল।

Leave a comment