চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি-নেহালপুর সড়কে গাছ ফেলে রাতভর ছিনতাইকারীদের তাণ্ডবে আহত ১
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের গিজলগাড়ি-নেহালপুর সড়কে গাছ ফেলে রাতভর গণছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীরা পথচারীদের বেঁধে নগদ টাকা, গয়না এবং মোবাইলসেট ছিনতাই করে নেয়। এ ঘটনায় একজনকে পিটিয়ে আহত করেছে ছিনতাইকারীরা। রাতভর ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টার দিকে করিমনযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের ওয়াজ ফকির, ছেলে তালেব এবং ছেলের বৌ সাবানাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা হিজলগাড়ি-নেহালপুর সড়কের মাঝপথে পৌঁছুলে রাস্তায় গাছ ফেলে ছিনতাইকারীরা তাদের করিমনের গতিরোধ করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। তাদের কাছে থাকা ২ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইলফোন ১ জোড়া কানের দুল, একই গ্রামের হারেছ উদ্দিনের ছেলে আতিয়ার রহমানকে বেঁধে তার নিকট থেকে ৫ হাজার ৭শ টাকা ও ১টি মোবাইলসেট, নলবিলা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা ১টি মোবাইল সেট এবং ফজরের নামাজ পড়াতে আসার সময় হিজলগাড়ি বাজার জামে সমজিদের ঈমাম মেহের আলীকে বেঁধে ১টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ওয়াজ ফকির জানান, আমাদের সবকিছু নিয়ে রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেয়। কাছে টাকা না থাকায় বোয়ালিয়া বাজারে গিয়ে বসে থাকি। ১ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে আসার সময় আবারও একই জায়গায় ছিনতাইকারীরা আমাদের গতিরোধ করে করিমনটি কেড়ে নেয়। এ সময় ছিনতাইকারীরা আতিয়ার রহমানকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।এদিকে রাতভর একই স্থানে সড়কে গাছ ফেলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের আওতায় একের পর এক ডাকাতি, ছিনতাই, চুরির ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ একটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। ফলে পুলিশি ভূমিকা দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।