আনছারবাড়িয়া স্টেশনের অদূরে ট্রেনে কেটে দিনমজুরের মৃত্যু

 

 

পটলক্ষেতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের ধাক্কা

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্লাটফর্মের সামনে ট্রেনে কেটে মীর ওলিয়ার রহমান নামের এক ব্যাক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি দিনমজুর ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ ট্রেনে কাটা পড়েন।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে., আন্দুলবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকার মৃত মীর রহমত আলীর ছেলে প্রাক্তন গ্রামপুলিশ ওলিয়ার রহমান (৬৭) স্থানীয়দের সহযোগিতায় আনছারবাড়িয়া স্টেশনের প্লাটফর্মের সামনে রেলওয়ে জমিতে টিনের ছাঁপড়া ঘর তুলে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। স্ত্রী, ছেলে মেয়ে থাকেন অন্য স্থানে। আনছারবাড়িয়া স্টেশন অতিক্রম করাকালে অসাবধানতা বশত বৃদ্ধ ওলিয়ার রহমান রেলপথ পার হতে গিয়ে তিনি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে নিহত হন। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ  লাশ উদ্ধার করে লাশের প্রাথমিক সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে নিহতের স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওয়ালিয়ার রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্টেশন এলাকায় অন্যের পটলক্ষেতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অসাবধনতাবশত রেলপথ পার হতে গিয়ে রাজশাহীগামী উর্ধ্বমুখি আপ কপোতাক্ষ ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই সেকেন্দার আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের প্রাথমিক সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের কারো কোনো প্রকার আপত্তি না থাকায় লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেন। রাতে আন্দুলবাড়িয়া খাঁজা পারেশ সাহেবের রওজার ঈদগা ময়দানে জানাজা শেষে রওজা গোরস্তানে তার লাশ দাফন করা হয়।