ছেলেদের পথে মেয়েরাও

স্টাফ রিপোর্টার: আগের রাতের পরাজয়ের যন্ত্রণা এখনো টাটকাই। সেই একই দল, তবে এবার লড়াইটা ছিলো মেয়েদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা বোলিঙে ভালো করলেও বাজে ব্যাটিঙের কারণে ফল সেই একই- পরাজয়। সিলেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজ মেয়েদের ১১৫ রানের জবাবে ৭৯ রানে অলআউট হয়ে সালমার দল হারলো ৩৬ রানে। অথচ একটা সময় ম্যাচে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ ভালো ছিলো। ১৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান। এর পরই ছন্দপতন। রীতিমতো ভূমিকম্প হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিঙে। ৪ উইকেটে ৭২ থেকে ১৭.৩ ওভারে ৭৯ রানে অলআউট। ৭ রানেই পড়েছে ৬ উইকেট! রুমানা আহমেদ (২৬) ও সালমা (১৭) বাদে আর কোনো ব্যাটসম্যান বলার মতো রান করতে পারেননি। উইন্ডিজ মেয়েদের পক্ষে সবচেয়ে সফল শাকুয়ানা কুইন্টিন। ১৮ বছর বয়সী এ লেগ স্পিনার মাত্র ৫ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনি।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা দলকে প্রথম আঘাতটা দিয়েছিলেন সালমাই। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সালমা তাঁর অফস্পিনে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ক্যাসিয়া নাইটকে। এরপর নিজের টানা দু ওভারে (ইনিংসের ষষ্ঠ ও অষ্টম ওভার) কুইন্টাইন ও ক্যাসিয়ার যমজ বোন ক্যাশোনাকে ফেরান ফাহিমা। বিপর্যয় সামলে দলকে কক্ষপথে ফেরানোর জোর চেষ্টা চালান ডটিন ও কিংয়ের পঞ্চম উইকেট জুটি। এ জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৪০। উইন্ডিজ মেয়েদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ করেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচসেরা ডটিন। ইনিংসের শেষ বলে ১১৫ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের পক্ষে লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন ১৬ রানে নেন ২ উইকেট। অসাধারণ বোলিং করেন অধিনায়ক সালমা খাতুন নিজেও। ৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। নিজের শেষ ওভারে অবশ্য দেন ৫ রান, পান আরও একটি উইকেট। সব মিলে সালমার বোলিং ফিগার ৪-১১-২। ইকোনমি রেট ২.৭৫! তবে উইকেট প্রাপ্তির দিক দিয়ে সবচেয়ে সফল অফস্পিনার খাদিজাতুল কুবরা। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। বল হাতে দারুণ হওয়ার পরও পুরোনো রোগ ব্যাটিং ব্যর্থতা জেঁকে বসলো মেয়েদের ওপর। হারতে হলো আরেকটি ম্যাচ।