একাত্তরের মতো অন্যরকম চেতনায় জেগে উঠলো গোটা জাতি

 

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে একসাথে গাইলেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন

স্টাফ রিপোর্টার: ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে তো বটেই, সারাবিশ্বে যেখানেই বাংলাদেশি- সকলেই একসাথে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সারাবিশ্বের সামনেই সৃষ্টি করলো অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি জাতি এক তারে বেজে উঠলে যে ইতিহাস রচিত হয় তা বাংলাদেশের মানুষ একবার প্রমাণ করেছে ১৯৭১ সালে। সে বছর এই ২৬ মার্চেই পুরো দেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে তারা ছিনিয়ে এনেছিলো বিজয়ের লাল সূর্য। ৪৪ বছর পর সেই মহান স্বাধীনতা দিবসে আবারো এক সুরে এক প্রাণ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ সৃষ্টি করলো নতুন ইতিহাস। বাংলাদেশের কিশোর-তরুণসহ প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ সারাবিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিলো দেশপ্রেমের কথা। কোটি কণ্ঠ একসাথে গেয়ে উঠলো ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।

গতকাল বুধবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ শিরোনামের এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নতুন বিশ্ব রেকর্ডটির (গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস) স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের জন্য শুধুই সময়ের ব্যাপার। ২০১৩ সালের ৬ মে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার (ভারত) ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন অংশ নিয়ে সে দেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আগের বিশ্ব রেকর্ডটি গড়েছিলো। বাংলাদেশের এ আয়োজনে সে সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। এখন গিনেজ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেই ভারতের নাম মুছে অঙ্কিত হবে বাংলাদেশের নাম। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা,  জেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্র লীগ, জেলা পরিষদ, উপজেলা জেলা প্রশাসন, উপ-পরিচালক পরিবার ও পরিকল্পনা অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা, ফার্স্টক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, পৌরসভা, আনসার ভিডিপি, নার্সিং ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সিভিল সার্জন, বিএমএ চুয়াডাঙ্গা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, জিমনেসিয়াম, ওয়ার্কার্সপার্টি, সরকারি কলেজ, সিডিএফ, পল্লি উন্নয়ন সংস্থা পাস, রিসো, এডাব, আত্মবিশ্বাস, সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বর মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয়। সকাল সোয়া ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আ.লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য দশম জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। উত্তোলন করা হয় জেলা আ.লীগের দলীয় পতাকা। সকাল ৭টায় শোভাযাত্রাসহকারে শহীদ হাসান চত্বরের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ মার্চ-পাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৭৪টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এরমধ্যে ছিলো পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস্, আনসার, ভিডিপি, বয়স্কাউট, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ ও হলুদ পাখিসহ বাহারী রঙের বিভিন্ন সংগঠন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালেতালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাবুদ্দিনের নেতৃত্বে প্যারেট পাইলট মিঠু ও বিদ্যুতের  চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক  ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত সকলের উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সুখি, সমৃদ্ধ, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন। ভাষন শেষে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরীরচর্চা প্রদর্শনী। পরে মার্চ-পাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মার্চ-পাস্ট ‘ক’ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন, ২য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে রোভার স্কাউট চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ। ‘খ’ বিভাগে ১ম সরকারি শিশু পরিবার,  ২য় প্রদীপন বিদ্যাপিঠ এবং ৩য় স্থান অধিকার করে সানফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন। শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ‘ক’ বিভাগে ১ম সরকারি শিশুসদন, ২য় গার্লস গাইড রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমী এবং ৩য় স্থান অধিকার করে হলদে পাখি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ‘খ’ বিভাগে ১ম প্রদীপন বিদ্যাপীঠ, ২য় ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে কচিকণ্ঠ কিন্ডারগার্টেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ১ম, ২য় ও স্থান অধিকারী ও অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে শুভেচ্ছা পুরস্কার দেয়া হয়। এনডিসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সকল প্রতিষ্ঠানকে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানসহ অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। সকাল ১১টায় সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে আগত সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।

এদিকে সকাল ১০টায় জেলা শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা উপহার দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। তিনি বলেন, জাতি এখন তার কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। আস্তে আস্তে হচ্ছে কলঙ্কমুক্ত। বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যদিয়ে জাতি সম্পূর্ণ কলঙ্ক মুক্ত হবে বলে আমি আশা করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহাবুব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনজুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ।

দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, শিশুসদন, অন্ধস্কুল, কারাগার ও ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ জোহর সকল মসজিদ, প্যাগোডা, গীর্জা, মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি অগ্রগতি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ম্যাচের আকর্ষণীয় পর্বে মুখোমুখি হয় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা একাদশ। পৌরসভা একাদশের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ। একই সাথে গত ২৪ মার্চ সকালে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন দৌঁড়ে ১ম থেকে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী দৌঁড়বিদদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ম্যারাথনে সরোগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম ১ ঘণ্টা ৯ মিনিট সময় নিয়ে ১ম স্থান, আব্দুল মান্নান ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট সময় নিয়ে ২য়, সাইফুল ইসলাম ১ ঘণ্টা ১৭ মিনিট সময় নিয়ে ৩য়, চুয়াডাঙ্গার আলাল হোসেন ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট সময় নিয়ে ৪র্থ, তানভীর ওরফে সোহেল কায়েস ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ৫ম ও বিপুল হোসেন ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট সময় নিয়ে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন।

একই সময়ে বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমীতে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে প্রদশন করা হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র। সন্ধ্যা ৭টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠি হয়।

বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট গতকাল সন্ধ্যায় সমিতির কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে। সমিতির সভাপতি অ্যাড. এসএম শরিফ উদ্দীন হাসুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ইনক্লাবের সাবেক সাব এডিটর বাবলুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি সরদার আল আমিন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহার আলীর উপস্থাপিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এমএম আলাউদ্দীন, মিজানুল হক মিজান, রফিক রহমান, বিপুল আশরাফ, খাইরুজ্জামান সেতু, মাহফুজ মামুন প্রমুখ।

এদিকে এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা গোধূলী স্পোর্টিং ক্লাব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে। সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মি. থ্যাপা, পদ্মবিলা ইউনিয়নের সাবেক আবু তাহের বিশ্বাস, গোধূলী স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মাজুসহ অনেকে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মেহেরপুরবাসী পালন করছেন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষে বুধবার ভোরে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে ৩১ বার তোপধ্বনী দেয় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। ভোর ৬টায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ের পাশে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হেমায়েত হোসেন। এরপর শহীদ বেদীতে পর্যায় ক্রমে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ফরহাদ হোসেন দোদুল, জেলা পরিষদের পক্ষে অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মতিয়ার রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল, গণপূর্তের পক্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সাফুয়ান আহমেদ রূপকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এদিকে সকাল ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আয়োজন। এ সময় জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। পরে পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, আনসার, বিএনসিসি, রোভার, স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াচ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা গার্ড অব অনার প্রদান করে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাদের সালাম গ্রহণ করেন। এর পর জেলা প্রশাসক মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পরে সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ডিস-প্লে অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ ভর্তি দর্শক এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

বেলা সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা শেষে সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে শহরে শোভাযাত্রা করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রোদ্ধা জানাতে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

বেলা ১১টায় মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর স্টেডিয়াম মাঠে বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের সমন্বয়ে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় অংশ নেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ফরহাদ হোসেন দোদুল, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ আসকার আলী প্রমুখ। বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এদিকে দিনটিকে সামনে রেখে সকাল থেকে মেহেরপুরের বিভিন্ন সরকারি, বে-সরকারি ও শ্বায়াত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানসহ শহরের বড় বড় বিল্ডিঙে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশুপরিবার ও ভবঘুরে কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেল ৪টায় মেহেরপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলার যৌথ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা অফিস  জানিয়েছে, দর্শনায় মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শহরে র‌্যালি ও শহীদদের বেদীতে পুষ্পঘর্ঘ অর্পণ করা হয়।  র‌্যালিতে অংশ নেয় আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেরুজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেরুজ চিনিকল, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর্শনা সরকারি কলেজ, মেমনগর বিডি, কেরুজ, দক্ষিণচাঁদপুর মাধমিক বালিক বিদ্যালয়, পূর্বরামনগর, পশ্চিম রামনগর, ঈশ্বরচন্দ্রপুরসজ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবীদ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে চিনিকল কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপি নানামুখি কর্মসূচি পালন করেছে। দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুনজাত আলীর সভাপতিত্বে কামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম।

কুড়লগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুড়ুলগাছিতে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয়। কুড়ুলগাছি দাখিল মাদরাসা, আনচার প্রি-ক্যাডেট, কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদাবরী মাধ্যমিক  বিদ্যালয়, ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিবসটি পালন করেছে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা প্রশাসন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো রাত ১২টা ০১ মিনিটে জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে ৩১ বার তোপধ্বনী, সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াচ, বেলা ১০টায় মাধবখালী সীমান্তে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কবরে ফাতেহা পাঠ, বেলা ১১টায় সর্বাধিক জনগণের অংশগ্রহণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলা ১২টায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বাদ জোহর উপজেলার সকল মসজিদ ও মন্দিরে জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজা, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনি, জীবননগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মশিউর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল কবির প্রমুখ। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলার উথলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃগমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও এনজিও সংস্থা দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে।

অপরদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হামদর্দের জীবননগর শাখার উদ্যোগে হতদরিদ্র ও অসহায় রোগীর মাঝে ফ্রি-চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫০ জন রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

দামুড়হুদা/আটকবর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, সুখি-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশগড়ার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় নাটুদাহ আট শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সকাল ১০টায় উপজেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও ছালাম গ্রহণ করেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান ও মডেল থানার ওসি আহসান হাবিব। দামুড়হুদা থানার চৌকস পুলিশ দল, আনসার ও ভিডিপি, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের রোভার স্কাউসসহ বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কুঁচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে।

পরে দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল, নাপিতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোজ কিন্ডার গার্টেন, কানন বিদ্যাপীঠ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ডিসপ্লেতে অংশ নেয়। বেলা ১১টায় সমবেত কণ্ঠে একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন নাজির হামিদুল ইসলাম।

অপরদিকে নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র মুক্তিযুদ্ধের কিছু চিত্র প্রদর্শন করেছে। যা বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মন কেড়েছে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কীভাবে এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে পাকহানাদার বাহিনীরা তারই চিত্রসহ স্বাধীনতা ভাষ্কর্য তৈরি করে সকলের দৃষ্টি কেড়েছে কিছু ছাত্র।

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। সকালে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করে। এছাড়াও কার্পাসডাঙ্গা কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা, বালিকা দাখিল মাদরাসা, অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন, বিশ্বাস কিন্ডার গার্টেন, ইসলামিয়া প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড বেবি টিচিং সেন্টার, জাগরণীচক্র ফাউন্ডেশন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, বন্ধু মেলা, কুতুবপুর, তালসারী, নাটুদা, পীরপুরকুল্লা নিম্ন, কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিনটি উদযাপন করে।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ভোরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিনটির শুভ সূচনা শুরু হয়। এ সময় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার মণ্ডল ও মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। ৬টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম খান, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাকেরপার্টি, দুর্নীতি প্রতিরোধ অফিস, প্রাক্তন সৌনিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে এক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, বাংলাদেশ স্কাউটসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

সকাল ১০টায় উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দোস হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্যদিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। ভোর সাড়ে ৬টায় স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, রোভার, স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন।

এদিকে গ্রীনেজ বুকে নাম লেখাতে লাখো কণ্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানের সুরে ভেসে ওঠে ঝিনাইদহ। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামসহ শহরের ৬টি স্থানে সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন হাজার হাজার মানুষ।

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হরিণাকুণ্ডুতে দিবসটি পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আমীন, উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম টানু মল্লিক ও হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আমীনের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ সদর আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান, রাশিদুল ইসলাম, রোকোনুজ্জামান প্রমুখ।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ তেঁতুলশেখ কলেজের উদ্যোগে দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালি বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি  আব্দুল্লাহ শেখ, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়াসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও র‌্যালি বের করা হয়। অংশগ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ শেখ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ প্রমুখ।

বদরগঞ্জ ব্যুরো জানিয়েছেন, সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা এবং বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকল কর্মচারী এক সাথে জাতীয় পরিবেশন করেন। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহামেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আ.লীগের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, মেম্বার মমিনুল ইসলাম। অপরদিকে বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসার পক্ষ থেকে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল জলিল হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হেড মুহাদ্দিস মুহা, লুৎফুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া জীবনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেম্বার মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আমিনুল হক, প্রধান শিক্ষক শ্রী.তাপস কুমার গোস্বামী, সদস্য আব্দুল মালেক ও ফারুকুজ্জামান।

মোমিনপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পিটিআই সংলগ্ন নীলমণিগঞ্জ ফুটবল মাঠে যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়। মোমিনপুর স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে মোমিনপুর ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রী মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে। সকাল ৮টার দিকে জাতীয় পতাকা ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সকাল ১১টার দিকে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এরপর আলোচনাসভা শেষে দিনব্যাপি বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষাবীদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান নান্নু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উদযাপন কমিটির প্রধান পৃষ্টপোষক মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমেদ সোহেল। সহকারী প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন ও সহকারী শিক্ষক ইমাম হাসানের যৌথ উপস্থাপনায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে দিবসটি পালিত হয়েছে। জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন, মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ একাডেমীতে জাতীয় সঙ্গীত ও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এছাড়া মুন্সিগঞ্জ সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে জাতীয় সঙ্গীতসহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট ছড়াকার দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুল হক বুলবুলসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। এছাড়া ড্যাফোডিল কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড প্রিক্যাডেট স্কুল স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি বের করে।

বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর সদরে মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহাবুব-উল আলম শান্তি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিরাতুল, মনজুর কাদির, রফিকুল ও মুনছুর। পরিচালনা করেন ক্রীড়া শিক্ষক আশরাফুজ্জামান বাবলু। অপরদিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সোহেল রানা। প্রধান অতিথি ছিলেন শামীম ফেরদৌস। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ধর্মীয় শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্ষিবাড়িয়া ও পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজে দিবসটি পালন করা হয়।

বদরগঞ্জ ব্যুরো জানিয়েছেন, দিবস উপলক্ষে কুতুবপুরের মর্তুজাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আতিয়ার রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোক্তার হোসেন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. শামীম সুলতান, পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ওলি মুহাম্মদ, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মসলেম আলী প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম। উপস্থিত ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। সাড়ে ৮টায় আনসার ও ভিডিপি, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট, গার্লস গাইড ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় স্বাধীনতা র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাক্তার শাহাবুদ্দীন সাবু, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এম সবেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান জোয়ার্দ্দার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে অর্থ প্রদান করা হয়।

অপরদিকে, আলমডাঙ্গা  পৌরসভার পক্ষ থেকে পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রত্যুষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের জাতীয় ও পৌরসভার পতাকা উত্তোলন, ভোর সাড়ে ৬টায় পৌর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পৌরমেয়র মীর মহিউদ্দীন। এছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তারা।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দিনটি পালন উপলক্ষে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা শিক্ষানুরাগী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী খালেদুর রহমান অরুণসহ দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা বিএনপির পক্ষ থেকেও দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে দলীয় অফিসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল কাউনাইন টিলুর নেতৃত্বে শহীদ মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। শেষে দলীয় কার্যালয়ে দিনটি উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

খাসকররা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে আলমডাঙ্গা খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বনাম মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে টি-২০ ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান।

নতিপোতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ সভাপতি আশাবুল হক ঠাণ্ড।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম। পরে শহীদ মিনার বেদিতে উপজেলা পরিষদের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, গাংনী থানার ওসি মাছদুল আলম ও মুক্তিযোদ্ধারা। সকাল ৭টার দিকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সম্পাদক শফি কামাল পলাশসহ নেতৃবৃন্দ। সকাল ৮টার দিকে সংরক্ষিত মহিলা এমপি সেলিনা আক্তার বানু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পুষ্পর্ঘ অপর্ণ করেন। এছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন  সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল নয়টায় গাংনী ফুটবল মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও গাংনী থানার ওসি।

দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজনিন সুলতানা। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন।

এদিকে ইউনেস্কো চুয়াডাঙ্গা ক্লাব ও ইউনেস্কো ক্লাব বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফকরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আশাদুল হক জোয়ার্দ্দার লেমন ও জেলা পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি সালাউদ্দিন চান্নু।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহসভানেত্রী সারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী মাকসুদা বেগম।

Leave a comment