হঠাৎ চলে গেলেন জিয়া : আজ দাফন

 

আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত : চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যু 

 

স্টাফ রিপোর্টার: হঠাত চলে গেলেন জিয়াউর রহমান জিয়া। মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই চিরো বিদায় নিলেন তিনি। গতরাত পোনে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর কিছুক্ষণ আগে তিনি হাসপাতাল এলাকাতেই বন্ধুদের সাথে চা পানের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন গোরস্তান জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

জিয়াউর রহমান জিয়া চুয়াডাঙ্গা জ্বিনতলা মল্লিকপাড়ার হাজি ওয়ালিউর রহমান মালিক টুল্লুর একমাত্র পুত্র ছিলেন। স্টেশনসংলগ্ন চাল-গমপট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। ডেস্টিনি-২০০০ এর চুয়াডাঙ্গা প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে রয়েল পরিবহনের চুয়াডাঙ্গা কাউন্টারের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল সোমবার বিকেলেও তিনি রয়েল পরিবহনের দায়িত্ব পালন করেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি হাসপাতাল এলাকায় বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যান। ডা. জিন্নাতুল আরার বাড়ির অদূরবর্তী চায়ের দোকানে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে দ্রুত নেয়া হয় হাসপাতালে। ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন। চোখের পলকেই তিনি হয়ে গেলেন লাশ। মৃতদেহ তার বাড়িতে নেয়া হলে নিকটজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে পরিচিতরা শেষবারের মতো দেখতে রাতেই তার বাড়িতে ভিড় জমায়। পিতা চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি ওয়ালিউর রহমান মালিক টুল্লুসহ নিকটজনদের শান্তনা দেয়ার ভাসা হারান সকলে। জিয়ার শিশু দু সন্তানের দিকে তাকিয়ে বন্ধুরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

জিয়াউর রহমান জিয়া পিতা, মাতা দু বোন ও স্ত্রী রনি, দু শিশু কন্যাসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন। চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৬ সালের ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন ও শিক্ষাদান কেন্দ্র রংধনুর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম তার সহপাঠী। জিয়াউর রহমান জিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে বন্ধুমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাথাভাঙ্গা পরিবার তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কমনা করেছে। একই সাথে শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।