আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী রেল ব্রিজটি ও পশ্চিমপাশের রেললাইন বর্তমানে চরম হুমকির মুখে

 

আলমডাঙ্গা ব্যরো: আলমডাঙ্গার শত বছরের পুরোনো ইংরেজ শাসনামলে তৈরি লাল রেল ব্রিজটি বর্তমানে ভীষণ হুমকির মুখে। ১৯০০ সাল থেকে প্রায় ৯ বছর ধরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৎকালীন ইংরেজ শাসকরা ওই ব্রিজটি নির্মাণ করেছিলো। যা আলমডাঙ্গা তথা এলাকার মানুষের গর্ব। ব্রিজটি কুমার নদের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বহু বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে। বর্তমানে ব্রিজটির পশ্চিম পাশের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। বেড়া দিয়ে কোনো রকমভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে রেলের ঢাল। বুধবার গরু-মহিষের হাটের কারণে প্রতিনিয়ত রেললাইনের মাটি সরে যাচ্ছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুঘর্টনা। হঠাত করে রেলের লাইনের মাটি সরে গেলে লাইনচ্যুত হতে পারে। ব্রিজের নিচের অংশের সমস্ত জায়গা অবৈধ্য ব্যবসায়ীদের দখলে। রেল লাইনের নিচে প্রচুর পরিমাণে গড়ে উঠছে দোকান। অনেকে বিদ্যুত লাইনও নিয়েছে ব্রিজের খুঁটির সাথে। ২০ থেকে ৩০টি দোকান অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। আলমডাঙ্গা পশুহাটের কারণে পশ্চিম পাশের মাটি দিন দিন সরে যাচ্ছে। পৌরসভাসহ পশুহাট মালিকের নেই কোনো পদক্ষেপ। বছরের প্রায় কোটি কোটি টাকায় পশুহাট ডাক হলেও ব্রিজটির উন্নয়নের নেই কোনো পদক্ষেপ। ব্রিজটির নিচে কেউ দিয়েছে হোটেল কেউ আবার চায়ের দোকান, কেউ দিয়েছে আসবাপত্রের দোকান। কিছুদিন আগে ব্রিজের আশপাশের মাটি খুড়ে উটের খোয়া বিক্রি করতো। তা এখন বন্ধ হলেও মাটি কেঁটে নিয়ে যাওয়া এখনো বন্ধ হয়নি। পশুহাটের সময় রেললাইনসহ ব্রিজের পাশে হাট বসে। নিয়মিত একদল অসাধুলোক লাইনের আশপাশের মাটি কেটে লাইনের আশপাশ এলাকায় ঘর বানানোর কাজে লিপ্ত আছে। দিন দিন বেড়েই উঠেছে অবৈধ্য দোকানের সংখ্যা। প্রশাসনিকভাবে বন্ধ করা না হলে একদিন হয়তো আলমডাঙ্গার গর্ব লাল রেল ব্রিজটির পশ্চিমপাশের লাইন ধসে বিলীন হয়ে বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। আর এজন্য দরকার আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার আশু হস্তক্ষেপ।