মেহেরপুরে দু দিনব্যাপি লালন স্মরণোৎসবে সাধুদের মিলনমেলা

মেহেরপুর অফিস: বাউল সম্রাট লালনের ও তার গানের মধ্যদিয়ে বেঁচে থাকতে চাই লালন সাধকেরা। সাধুর চরণধুলি আর সান্নিদ্ধ নেয়ার জন্য মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে বাউল সম্রাট লালন শাহ স্মরণে শেষ হলো দু দিনব্যাপি লালন স্মরণোৎসব। বিভিন্ন জেলা থেকে লালন সাধকেরা ছুটে আসেন ওই স্মরণোৎসবে। লালনের আধ্যাত্বিকতা ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে গুরু অনিল সাধুর আশ্রমে প্রতি বছরেই আয়োজন করা হয় বাউল সম্রাট লালন শাহ্ স্মরণে লালন স্মরণোৎসব। ১০ম বারের মতো গতকাল রোববার শেষ হলো ওই লালন উৎসব। বিভিন্ন জেলা থেকে লালনভক্ত, বাউল গবেষক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দেয় এ বাউল উৎসবে। মানব ধর্মের সেবা এবং লালনের রেখে যাওয়া আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য তারা বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসেন এখানে। লালনভক্ত শৈলেন হালদার জানান, লালন মহান বাউল সম্রাট। তার জ্ঞানকে ধারণ করে পথ চলার জন্য আমরা প্রতিবছরই লালন উৎসবে ছুটে আসি। লালনভক্ত আব্দুল মালেক ফকির জানান, লালনের জ্ঞান ও গানের তত্ব ধরে রাখার জন্য আমরা লালনের সাধনা করি।

লালন শিল্পী আলামিন দেওয়ান জানান, লালনকে ভালোলাগার কারণে আমি লালনের গান গায়। লালনের গান নিয়ে এখন বাংলাদেশসহ দেশের বাইরেও গানের তাৎপর্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। লালন শিল্পী মুক্তি পারভীন জানান, লালনের কথা এবং গানের তাৎপর্যের মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। লালনের গান সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে দেশসহ দেশের বাইরে আমি লালনের গান গেয়ে তার জ্ঞানতত্বকে ছড়িয়ে দিচ্ছি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের মায়ের দোয়া শান্তি আশ্রম কেন্দ্রের উদ্যোক্তা অনুকুল সাধু জানান, ১২ বছর ধরে লালনের এ অনুষ্ঠান করে আসছি। গুরুর কৃপা এবং সান্নিদ্ধ লাভ করার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে লালন ভক্তরা ছুটে আসে।

মেহেরপুর চাঁদবিল গ্রামের মায়ের দোয়া শান্তি আশ্রম কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর রফিক-উল-আলম জানান, কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া লালনের উৎসবের পরেই চাঁদবিলে তার স্বরণোৎসব হয়ে থাকে। একাধারে তিনি লালন সাঁই, লালন ফকির, বাউল সম্রাট, যিনি নিজেই গীতিকার নিজেই সুরকার। লালনের দেহতত্ব, ভাবতত্বসহ তার সমস্ত জ্ঞান সমন্ধে জানার জন্য ভক্তরা এখানে ছুটে আসে।