স্টাফ রিপোর্টার: কোনোক্রমেই থামছে না রেলের তেল চুরি। মন্ত্রণালয় রেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কার্যকর না হওয়ায় কোনো পদক্ষেপেই থামানো যাচ্ছে না চুরি। একই ট্রেন একই দূরত্ব নিয়মানুযায়ী জ্বালানি ব্যবহারও একই রকম হওয়ার কথা থাকলেও ৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ রেলওয়ে তেলের ব্যবহারের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩২ থেকে ৩৬ শতাংশ বেশি। শুধু তেলের খরচের এ বাড়তি এ হিসাব দেখানোর আড়ালে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার লিটার তেল (ডিজেল) চুরি হয়ে যাচ্ছে। বছর শেষে যার আনুমানিক মূল্য ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রতি রুটেই গত ৫ বছরে ডিজেল ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তেল চুরি হচ্ছে।
তেল চুরির এ ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটলেও তা বন্ধে কার্যকর ও জোরালো কোনো উদ্যোগ নেই রেল কর্তৃপক্ষের। বাংলাদেশ রেলওয়ে তেল চুরি বন্ধে প্রায় ৪ বছর আগে রেল মন্ত্রণালয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও আজ পর্যন্ত তার কাজ শুরু করেনি। সূত্র জানায়, তেল চুরি বন্ধ করতে ২০০৮ সালে তৎকালীন সরকার প্রতি কিলোমিটার ট্রেন চালানোর জন্য ডিজেল ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়। নির্ধারিত সীমার বাইরে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে এবং তা প্রমাণিত হলে উক্ত ট্রেন চালকের বেতন থেকে অতিরিক্ত তেলের মূল্যের টাকা কেটে রাখা হবে বলে বিধান রাখা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে দেখা যায়নি।