কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশকে গোপনে পানি দিয়েছে : মমতা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ফারাক্কা বাঁধ ও তিস্তা নদী থেকে বাংলাদেশকে গোপনে পানি দিয়েছে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কিছুই জানায়নি। গোপনে পানি দেয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খাবার পানি এবং কৃষকরা সেচের পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় এক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা প্রশ্ন করেন, ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো কেন ভাঙা হয়েছে এবং কেন ভাগিরথী নদীর পানি দেয়া হয়েছে? তিস্তা নদীও শুকিয়ে গেছে। একদিন জানতে পারি যে, ফারাক্কার গেটগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সেই অজুহাতে আমাদের না অবহিত করেই তিন মাস পানি দেয়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের অগোচরে তিস্তার পানিও ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা বলেছি- আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সাধ্যমতো ছাড় দেবে। কিন্তু আমাদের না বলে পানি দিয়ে দেয়ার মাধ্যমে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির মানুষকে সেচ ও পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কংগ্রেসকে সেচ বিভাগের দায়িত্ব হস্তান্তর করার কারণে আমি এটা দেরিতে জানতে পেরেছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমি নই, আমরাও বাংলাদেশকে ভালোবাসি। সে কারণে বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন এবং এখানে বসবাস করছেন। মমতা বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে নই। আমি শুধু কেন্দ্রের ভূমিকার কথা বলছি। চুক্তি ও রাজ্যের সম্মতির ভিত্তিতে পানি দেয়া হলে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে ফারাক্কা থেকে গোপনে পানি দেয়ায় এখানকার নদী শুকিয়ে গেছে। ফলে শিল্প-কারখানায় ছাড়াও সেচ ও পানীয় জলের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের তিনটি লোকসভার আসনে ২০০৯ সালের নির্বাচনে জয় পেয়েছিলো তৃণমূল।