মুজিবনগরের রতনপুরের বিএনপি নেতা ডা. হেলাল ও মেয়ে সেতু হত্যা মামলার আজ বছর পূর্তি

 

গ্রেফতার হয়নি কেউ : আজো উঘাটন হয়নি হত্যা রহস্য

দর্শনা অফিস: মুজিবনগর রতনপুরের বিএনপি নেতা ডা. হামিদুল ইসলাম ওরফে হেলাল উদ্দিন ও তার মেয়ে হাবিবা খন্দকার সেতু হত্যামামলার আজ এক বছর পূর্তি। টানা এক বছরে পিতা-মেয়ে হত্যা মামলার কোনো কূল-কিনারায় পৌঁছাতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে করতে পারেনি গ্রেফতার। এক বছরে চোখের পানি শুকায়নি স্বজনদের। আজ শুক্রবার পিতা-মেয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলো। এ উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া মাহফিল ও কাঙালিভোজের।

মেহেরেপুরের মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ডা. হামিদুল ইসলাম ওরফে হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে গত বছরের ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৫/১৬ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী হানা দেয়। সন্ত্রাসীরা ডা. হেলালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ডা. হেলাল উদ্দিনের মেয়ে কলেজছাত্রী সেতুকে লক্ষ্য করে শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করলে বোমাঘাতে নিহত হয় সেতু। পিতা ও মেয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। হত্যার নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে তা স্পস্টভাবে কেউ বলতে না পারলেও পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাসহ ৩টি কারণে সন্ত্রাসীরা ডা. হেলালকে খুন করতে পারে। এ ঘটনায় পরদিন ডা. হেলালের স্ত্রী বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। ডা. হেলাল ও কলেজছাত্রী সেতু হত্যাকাণ্ডের আজ এক বছর। টানা এক বছরে পুলিশ যেমন উদঘাটন করতে পারেনি হত্যা রহস্য, তেমনি গ্রেফতার করতে পারেনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কাউকে। আসলে কি পুলিশ খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি, নাকি অজ্ঞাত কারণে অথবা অদৃশ্য ইশারায় গ্রেফতার করছে না? বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করে ডা. হেলাল ও সেতুর খুনিদের আবারো গ্রেফতারের দাবি উঠেছে।