দামুড়হুদায় ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন

 

 

থানায় মামলা দায়ের : জেলহাজতে প্রেরণ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বড় দুধপাতিলা গ্রামের যৌতুকলোভী পাষণ্ড স্বামী আবুল কালাম আজাদ ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর ওপর শারিরীকভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী বাদী হয়ে পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ওই যৌতুকলোভী পাষণ্ড স্বামীকে আটক করে গতকাল আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

মামলার এজেহারসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলীর মেয়ে দীননাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সোহাগীর (২৪) সাথে দামুড়হুদা উপজেলা বড় দুধপাতিলা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে হাউলী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদের সাথে ১১ মাস আগে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী আবুল কালাম আজাদ ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী আজাদ তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। বিষয়টি মেয়ের পিতা জানতে পেরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে জামাই আজাদকে একটি ১শ সিসির ডিসকভার মোটরসাইকেল, একটি দামি মোবাইলসেটসহ নগদ ৩ লাখ টাকা জামাইয়ের হাতে তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শশুর মুনছুর আলী। ১০ লাখ টাকা যৌতুকের হিসাব নিকাশে আরো ৫ লাখ টাকা পাওনার কথা প্রায়ই স্ত্রীকে আনতে বলে। গত  ১৬ মার্চ যৌতুকের ওই ৫ লাখ টাকা নিয়ে আবারও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং আজাদ তার স্ত্রী সোহাগীকে প্রচণ্ড মারপিট করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সোহাগী তার স্বামীর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করলে থানার এসআই রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আজাদকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এদিকে যৌতুকলোভী ওই আজাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সোহাগী জানান, তার স্বামী পরনারী আশক্ত এবং তার পরকীয়া প্রেম রয়েছে। কিছু বলতে গেলেই মারধর করে আর বলে তুই স্ব ইচ্ছায় তালাক দিয়ে চলে যাবি। আমাকে ডিসটার্ব করবি না। কার সাথে পরকীয়া প্রেম আছে জানতে চাইলে তিনি পুরো ঘটনা খুলে না বললেও বলেন, অনেক মেয়ের সাথেই তার পরকীয়া প্রেম আছে এবং ১৬ মার্চ রোববার দর্শনা আনোয়ারপুরের এক স্কুল শিক্ষিকাকে (কেয়া ম্যাডাম) চড়থাপ্পড় মারে। এ নিয়ে ওই স্কুল শিক্ষিকা আইনের আশ্রয় না নিলেও বিষয়টি নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট হৈ চৈ হয়।