স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে আ.লীগ-বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ১৫ মার্চ তৃতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পার্শ্ববর্তী দামুড়হুদা উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতা অভিযোগ করে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ইসলামের নামে ভুল তথ্য দিয়ে অন্য দলীয় কর্মীদের বিভ্রান্ত করছেন। অপরদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে জামায়াতের সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক কাঠামোই এ সাফল্যের কারণ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ১৯৪ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৫৯ হাজার ৩৬৪ জন। আগামী ২৩ মার্চ জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল (আনারস), বিএনপি সমর্থিত হাজি সাইদুর রহমান (দোয়াত-কলম), বিএনপি একাংশ সমর্থিত ফারহানা আক্তার রিনি (কাপ-পিরিচ) ও জামায়াত সমর্থিত অধ্যাপক খলিলুর রহমান (মোটরসাইকেল)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হাফিজুর রহমান (উড়োজাহাজ), বিএনপি সমর্থিত আরিফুজ্জামান আরিফ (টিউবওয়েল), জামায়াত সমর্থিত মাও. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন (চশমা) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন শামসুল আলম (তালা-চাবি)। সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আয়েশা সুলতানা লাকি (কলস), বিএনপি সমর্থিত পেয়ারা বেগম (হাঁস), উপজেলা বিএনপির একাংশ সমর্থিত মাহফুজা পারভীন বিউটি (প্রজাপতি) ও জামায়াত সমর্থিত সামসুন্নাহার মুক্তা (ফুটবল)।
বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগে দুটি গ্রুপ নির্বাচন উপলক্ষে সব ভেদাভেদ ভুলে তারা এক কাতারে এসে কাজ করতে চেষ্টা করছেন। তবে আ.লীগের গুটিকয়েক প্রবীণ নেতা এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে গণসংযোগে মাঠে নামেননি।
অপরদিকে বিএনপি হাজি সাইদুর রহমানকে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী দিলেও উপজেলা মহিলাদলের সভানেত্রী ফারহানা আক্তার রিনি নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে থাকায় বিএনপি কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে। ফলে এ দলের ভোট নির্বাচনে দু ভাগে বিভক্ত হবে।