৫ মাস ধরে ছোট ভাইকে দিয়ে কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ

 

ঘোলদাড়ি ফার্ম ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া লাঞ্ছিত

সদরুল নিপুল/আশিক পারভেজ: আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির বাণিজ্যিক খামারের ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়াকে ফার্মের পাহারাদারেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। ফার্ম ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া গত ৫ মাস ধরে নিজে অনুপস্থিত থেকে তার ছোট ভাইকে দিয়ে দাপটের সাথে ফার্মের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ পাহারাদার ও শ্রমিকেরা তাকে লাঞ্ছিত করে। তাদের অভিযোগ, ফার্ম ইনচার্জ গত ৫ মাসে মাত্র ২০ দিন ফার্মে উপস্থিত হয়েছেন। উত্তেজিত শ্রমিকদের অভিযোগ, ফার্মের আখ সেচ বাবদ প্রতিদিন ৮ লিটার ডিজেল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ৮ লিটারের ভেতর ৪-৫ লিটার ডিজেল সেচ বাবদ খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম চলার এক পর্যায়ে ফার্মের নিযুক্ত পাহারাদার ও শ্রমিকরা ফার্ম ইনচার্জের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। গতকাল বুধবার সকালে ফার্ম ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া ফার্মের ভেতর প্রবেশ করলে উত্তেজিত শ্রমিক-পাহারাদারেরা ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। অবস্থা বেগতিক বুঝে ফার্ম ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া তার ছোট ভাই গোলাম ফারুককে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত সটকে পড়েন।

ফার্মের নিযুক্ত পাহারাদার বুদো, মতিয়ার, আনারুল, শহিদসহ অনেকেই গতকাল বুধবার দুপুরে অভিযোগ করে মাথাভাঙ্গাকে জানান, ফার্মের ভেতর আখসেচ বাবদ প্রতিদিন ৮ লিটার ডিজেল তেল বরাদ্দ থাকলেও ৪-৫ লিটার ডিজেল সেচ কাজে ব্যবহার করেন গোলাম ফারুক। বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ফার্ম ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া গতকাল বিকেলে জানান, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি বলেন, পাহারাদাররা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। কিন্তু শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেনি। পাহারাদার ও এলাকাবাসী বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে কেরুজ এমডির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।