চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ নেতা টুটুল হত্যাকাণ্ডের এক বছর

 সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন আলোচনাসভা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ নেতা কনক আহম্মেদ টুটুল হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসির রায় কাযকর করার দাবিতে জেলা ছাত্রলীগ মানববন্ধন ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্তির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগ নেতা নাঈম হোসেন জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ, রেজাউল করিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সফি উদ্দিন টিটু, যুগ্মসম্পাদক সাহাবুল ইমরান, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, পাঠাগার সম্পাদক আক্তার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা পাভেল জোয়ার্দ্দার, খালিদ, রেফায়েত জোসেন রাজীব, ফয়সাল, রানা, লিপু, জীম, রাশেদ, রাসেল, রোমেল, আসাদ, মাসুম, সুইট, রাকিব, নন্দ, আনোয়ার, আরেফিন, রায়হান, কাব্য, তামিম, আমানত প্রমুখ। বক্তারা টুটুল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পলাতকদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে জেলা ছাত্রলীগসহ সকল ইউনিট ছাত্রবৃন্দ বৃহত্তর আন্দালন ঘোষণা করবে। অনুষ্ঠানটি প্ররিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম হাসান তারেক।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে কনক আহম্মেদ টুটুল (২০) টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। গতবছর ছাত্রলীগকর্মী টুটুলসহ কয়েকজন দুটি মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গার আদর্শ মহিলা কলেজের সামনে গেলে হামলার শিকার হয়। একদল যুবক প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মোটরসাইকেল থেকে টুটুলকে নামিয়ে নিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে, দলেচটকে, ইট দিয়ে থেঁতলে ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। টুটুলের সাথে থাকা দৌলাতদিয়াড় বাদালপাড়ার হাশেম আলীর ছেলে রানা ও একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে রাশেদ আহম্মেদও আহত হয়। টুটুলকে ঢাকায় নেয়ার পথে মানিকগঞ্জে মারা যায়।