স্টাফ রিপোর্টার: দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার মেয়ে শিরীন নাঈম পুনম। সেই সাথে মোট আরো ৪৭ মহিলা সংসদ সদস্য প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় গতকাল বুধবার তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জোয়ার্দ্দার পরিবারের মেয়ে নির্বাচিত মহিলা সংসদ সদস্য পুনম বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি প্রয়াত আকতার হোসেন জোয়ার্দ্দারের মেয়ে। দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৮ মহিলা সংসদ সদস্য প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
৯ মার্চ ৫০ জন প্রার্থী ইসিতে মনোয়নপত্র জমা দেন। ১১ মার্চ যাচাই-বাছাই শেষে ৪৮ প্রার্থীর মনোয়নপত্র বৈধ বলে জানায় ইসি। বিলখেলাপির দায়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে কমিশন। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় ৪৮ প্রার্থীকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচিত প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশ করবে ইসি। তিনি জানান, দুই আসনের জন্য ফের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের সময় থেকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে বাকি দুই আসনের পুনঃতফসশল ঘোষণা করার বিধান রয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বৈধ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩৮ জন, জাতীয় পার্টির ৫ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন, জাসদের একজন ও স্বতন্ত্র তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবিহা নাহার বেগম ও জাতীয় পার্টির খোরশেদ আরার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচিত অন্য মহিলা সংসদ সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগ থেকে তারানা হালিম, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, আমিনা আহমেদ, পিনু খান, সানজিদা খানম, নীলুফার জাফরউল্যাহ, সেলিনা জাহান লিটা, সফুরা বেগম রুমী, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বেগম আখতার জাহান, সেলিনা বেগম স্বপ্না, সেলিনা আখতার বানু, লায়লা আরজুমান বানু, কামরুল লায়লা জলি, হেপী বড়াল, রিফাত আমিন, নাসিমা ফেরদৌসী, লুৎফুন্নেছা, মমতাজ বেগম, মনোয়ারা বেগম, মাহজাবিন খালেদ, ফাতেমা জোহরা রানী, দিলারা মাহবুব আসমা, ফাতেমাতুজ্জহুরা, সাবিনা আক্তার তুহিন, রহিমা আক্তার, হোসনে আরা বাবলী, কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, রোখসানা ইয়াসমিন ছুটি, নাভানা আক্তার, আসমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, শামছুন নাহার বেগম, ওয়াসিফা আয়শা খান, জাহানারা বেগম সুরমা ও ফিরোজা বেগম চিনু। জাসদের লুৎফা তাহের। ওয়ার্কার্স পার্টির হাজেরা খাতুন। জাতীয় পার্টির নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, মাহজাবীন মোরশেদ, মেরিনা রহমান, শাহানারা বেগম ও রওশন আরা মান্নান। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে কাজী রোজি, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম (মুক্তা) ও অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল।