এবার পক্ষ ত্যাগ করে কর্নেল কামরুজ্জামানের সাথে যোগ দিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা এম জেনারেল

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম মূল কমিটির মোজাম্মেল হক ও শামসুজ্জামান দুদুর পক্ষ ত্যাগ করেছেন। বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি যোগ  দিয়েছেন কর্নেল কামরুজ্জামানের পক্ষে। কর্নেল কামরুজ্জামান এক অনাম্বড় পরিবেশে তাকে স্বাগত জানিয়ে গ্রহণ করেন।

গতকাল বুধবার সকাল থেকেই গুঞ্জন ওঠে সিনিয়র নেতা এম জেনারেল ইসলাম কর্নেল কামরুজ্জামানের পক্ষে যোগদান করবেন। অনেকেই এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও সন্ধ্যার পর তা বাস্তবে রূপ নেয়। সন্ধ্যায় কামরুজ্জামানের ইমার্জেন্সি সড়কস্থ বাসভবনে যখন বিএনপির প্রবীণ এ নেতা উপস্থিত হন তখনই সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে। এ সময় এম জেনারেল ইসলামকে এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে তুলে দিয়ে বরণ করে নেন বিএনপির উদীয়মান নেতা কর্নেল কামরুজ্জামান।

এসময় এম জেনারেল ইসলাম উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, অনেক দিন পর মনে হচ্ছে মুক্ত গগনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। মনে হচ্ছে অনেক দিন পর মুক্তির স্বাদ পেলাম। এম জেনারেল ইসলাম এ সময় নিজের পক্ষ ত্যাগ এবং চুয়াডাঙ্গা বিএনপির রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।  তিনি বলেন, আমি ওই পক্ষের (মোজাম্মেল-দুদু) সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও কমিটি অনুমোদনের স্বপক্ষে কোনো কাগজ দেখিনি। গত কয়েক বছরে বিএনপিকে একটি বাক্সে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন,  বার বার দলকে গতিশীল করার কথা বলা হলেও তা কর্ণপাত করা হতো না। ১৩ জনের বসার ঘরে একটি ছবি তুলে পত্রিকায় পাঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো বিএনপির রাজনীতি। দলে ছিলো না কোনো জবাবদিহিতা। সব কিছুই হাতে গোনা দু-তিনজন নির্ধারণ করে দিতো।

এ সময় জেলা যুবদল, ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়েও মুখ খোলেন এম জেনারেল ইসলাম। বলেন, বহুবার চেষ্টা করেছি দল থেকে বের হয়ে যাই, কিন্তু ভালো প্লাটফর্ম পাইনি। অবশেষে রাজপথের রাজনীতির মানুষ কর্নেল কামরুজ্জামনের সাথে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল নেতা শরিফুল আলম বিলাসের উপস্থাপনায় যোগদান অনুষ্ঠানে কর্নেল কামরুজ্জামান বলেন, আমি সব সময় চেয়েছি বিএনপি গতিশীল হোক। আজ মনে হচ্ছে আমার চেষ্টা কিছুটা স্বার্থক হয়েছে। তিনি বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকেই চেয়ারপারসনের নির্দেশে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করি। বহুবার আমি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছি, অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেছে আজ মনে হচ্ছে আমি অনেকটা সফল হতে চলেছি। তিনি জানান, কে নেতা আর কে কর্মী সেটা ভাববার সময় এখন নেই। সময় এখন দলকে সুসংগঠিত করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার।

যোদগান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন, প্রচার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিক, সহপ্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুট, যুবদল নেতা মফিজুর রহমান মনা, সদর উপজেলার শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শহিদ হোসেন লাড্ডু, যুবনেতা মনিরুজ্জামান লিপ্টন, সাইদুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, হারু, রনি, মিলন, লিয়াকত, ফতো, বাশার, মালেকসহ বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।