নেপালকে হারিয়ে সুপার টেনের পথে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক পর্বের মূল বাধা আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেয়া বাংলাদেশের বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি নেপালও। ৮ উইকেটের জয়ে নিজের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেন প্রায় নিশ্চিত করে ফেললো স্বাগতিকরা। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে নেপালের করা ১২৬ রান ২৭ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল (৩০) ও এনামুল হকের (৪২) ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। তাদের বিদায়ের পর সাব্বির (অপরাপজিত ২১) ও সাকিব আল হাসানের (অপরাজিত ৩১) মারমুখী জুটিতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এর আগে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক পরশ খাড়কার সাথে শারদ ভাসওয়াকারের জুটিতে তারা দাঁড় করায় মোটামুটি একটি সংগ্রহ। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে প্রথম আঘাত হানেন ফরহাদ রেজা। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডঅনে আব্দুর রাজ্জাককে ক্যাচ দেন সুভাষ খাকুরেল। সপ্তম ওভারে তিন বলের মধ্যে সাগর পান ও জ্ঞানেন্দ্র মাল্লাকে ফিরিয়ে অতিথিদের বড় একটা ধাক্কা দেন পেসার আল-আমিন হোসেন। সাগরকে গ্লাভসবন্দী করেন মুশফিকুর রহিম। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন জ্ঞানেন্দ্র। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক খাড়কার সাথে শারদের ৭৫ বলে ৮৫ রানের জুটিতে ১শ পার হয় নেপালের সংগ্রহ। ৩৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪১ রান করা পরশকে বোল্ড করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।শেষ বলে রান-আউট হওয়ার আগে ৪০ রান করেন শারদ। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ছিলো ৫টি চার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে দুটি সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুশফিক দুবারই স্ট্যাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে একজন বাড়তি পেসার নিয়ে খেলার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। শিশিরে ভেজা বল ঠিকমতো ধরতে সমস্যা হওয়ায় অনিয়মিত অফস্পিনার নাসির হোসেন করেছেন মিডিয়াম পেস। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাক করেন মাত্র ২ ওভার। অফস্পিন-অলরাউন্ডার মাহমুদল্লাহ রিয়াদতো হাতে বলই পাননি।