দামুড়হুদায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ডাকে অর্ধদিবস হরতাল পালিত

 

 

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম : ইউএনওর অপসারণের দাবি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন বাতিলসহ ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে দামুড়হুদায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ডাকে অর্ধদিবস (সকাল ৬ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত) হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা-যশোর মহাসড়কের ব্র্যাকমোড় ও কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করতে থাকে। সকালে চৌরাস্তার মোড় থেকে আওয়ামী লীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন বলেন, গত ১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠেয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রিসাইডিং অফিসারকে ম্যানেজ করে ২টি কেন্দ্রে তার চশমা প্রতিকের প্রাপ্তভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়ে কৌশলে বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে অল্প ভোটের ব্যবধানে আমাকে হারিয়ে দিয়ে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যা প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য। দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিল্টনের প্রতি অভিযোগ তুলে তিনি আরো বলেন, সেই পেছনের গডফাদার হিসেবে কাজটি করিয়েছে। তাকে যেখানে পাওয়া যাবে তাকে উত্তম-মধ্যম দেয়া হবে বলেও হুঁসিয়ার করেন। তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জামায়াতের এজেন্ট ওই ইউএনওকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। হরতাল চলাকালে সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। উপজেলা সদরের সমস্ত ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে হরতালকে সমর্থন জানান।

এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ডাকা হরতাল ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড, চৌরাস্তার মোড়, সোনালী ব্যাংক, তেলপাম্পসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিলো।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, হরতালে নাশকতা ঠেকাতে উপজেলা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠেয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ভোট কারচুপির অভিযোগ করা হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউওনও) অপসারণ ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ।