আলমডাঙ্গায় এমপি ছেলুন গোল্ডকাপ ক্রিকেটে কর্তৃপক্ষ ও আম্পায়ারের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন।

 

 

হুইপ মহোদয়ের নিকট ন্যায় বিচারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় অনুষ্ঠিত এমপি ছেলুন গোল্ডকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার কর্তৃপক্ষ ও আম্পায়ারদ্বয়ের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন চুয়াডাঙ্গা সুপার স্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক টুটুল মোল্লা। নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ  বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের  নিকট ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন সুপারস্টার ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও খেলোয়াড়বৃন্দ।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়া সুপার স্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক টুটুল মোল্ল। এ সময় সুপার স্টার ক্লাবের সকল খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ক্লাব কর্মকর্তা টুটুল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিনীত নিবদেন এই যে, সকল সাংবাদিক বন্ধুদের অভিনন্দন। আপনারা চুয়াডাঙ্গা ক্রীড়া অঙ্গণের সকল নিউজ কাভারেজ দিয়ে চুয়াডাঙ্গার ক্রীড়া অঙ্গণকে আরো সমৃদ্ধ করেছেন। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয় আলমডাঙ্গা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় এমপি ছেলুন গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুনামেন্ট। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি ও মাননীয় হুইপ মহোদয়ের নামে হওয়ায় আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু নাটকীয়ভাবে আমার দল সুপার স্টার ক্লাবকে ফাইনালে না উঠতে দেয়ার জন্য খেলা পরিচালনা কর্তৃপক্ষ গতকাল ১৮ মার্চ সকাল ৯টার পরিবর্তে পৌনে ১১টায় শুরু করেও তা ৫০ ওভারের ম্যাচ হিসাবে পরিচালনা করে। ক্রিকেট আইনের কোথায়ও এমনভাবে খেলা হয়েছে কি-না তা আমার জানা নেই। ক্রিকেটের নিয়মানুসারে নির্ধারিত সময়ের যতক্ষণ পরে খেলা শুরু হয়, সেই সময় অনুযায়ী ওভার কাটেল করে খেলা শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু তা না করে পৌনে ১১টায় শুরু হওয়া খেলা ৫০ ওভারের ম্যাচ হিসেবে খেলানো হয়। খেলার আম্পায়ার বিতর্কিত দু আম্পায়ার মাহফুজ মামুন ও মনিরুজ্জামান মনি প্রতিদিন ক্রিকেটের নিয়ম দেখিয়ে বলেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত কিন্তু গতকাল ১৮ মার্চ পাতানো খেলায় আম্পায়ারদ্বয় বলেন, কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কমিটির যোগসাজসে আলমডাঙ্গা সিনিয়র একাদশ ও নাগদাহ অনির্বাণ সংঘের মধ্যকার খেলা চলাকালে আম্পায়ারদ্বয় পক্ষপাতমূলক আচরণ কছেন। ইতঃপূর্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার বেশ কয়েকটি খেলায় ওই আম্পায়ারদ্বয় বির্তকিত খেলা পরিচালনা করে নিন্দিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য আমার দল (সুপার স্টার ক্লাব) ৪ খেলার দুটিতে বোনাসসহ ৩টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে। যখন ফাইনালের সব পথ পরিষ্কার ঠিক তখনই আমার দলকে খেলা পরিচালনা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করে নাগদাহ অনির্বাণ সংঘ ও আলমডাঙ্গা সিনিয়র একাদশের মধ্যকার খেলায় সাজানো নাটক করে নাগদাহ অনির্বাণ সংঘকে ৫০ ওভারের খেলায় মাত্র ১২ ওভারের মধ্যে ৫০ রানে অলআউট করে। জয়ের লক্ষ্যে আলমডাঙ্গা সিনিয়র একাদশ মাত্র ১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৩ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। যা পৃথিবীর ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল। এটায় প্রমাণ করে যে, পরিকল্পিভাবে আমার দলকে হারিয়ে পছন্দের দলকে ফাইনাল খেলার জন্যই সকল ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আর এ ষড়যন্ত্রে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বির্তকিত দু আম্পায়ার। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, কিন্তু এ খেলায় আম্পায়ারদ্বয়ের ভূমিকা ছিলো কাঠের পুতুলের মতো। টুর্নামেন্টের অন্যান্য ম্যাচ ৪০ ওভারের হলেও আজকের (মঙ্গলবার) এ খেলা পৌনে ১১টায় শুরু হওয়া স্বত্বেও তা ৫০ ওভারে খেলানোর সিন্ধান্ত নেয়া হয়। যা ক্রিকেট নিয়মের পরিপন্থি।

অতএব, আমি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি মনানীয় হুইপ মহোদয়ের মাধ্যমে খেলা পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায়, সঠিক তদন্ত করে পাতানো ম্যাচ বাতিলসহ ন্যয় বিচারের মাধ্যমে আমার সুপার স্টার ক্লাবকে নিয়মানুসারে ফাইনাল খেলার সুযোগদানে মর্জি হয়। লিখিত সাংবাদিক সম্মেলনের কপি দেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মহোদয়কে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বরাবর দেয়া হয়েছে।