অস্ত্রের মুখে গ্রামীণ ব্যাংকের ঝিনাইদহের মহারাজপুর শাখায় ডাকাতি

 

 

নগদ টাকা মোবাইলফোন ও সোনার গনা লুট

ঝিনাইদহ অফিস: সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখায় পরপর ডাকাতির পর এবার ঝিনাইদহে দিন-দুপুরে অস্ত্রের মুখে গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারে মহারাজপুর গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে ভল্টের চাবি নিয়ে ভল্ট খুলে ফেলে। ভল্টে কোনো টাকা না পেয়ে ডাকাতদল ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নগদ ৮ হাজার ১৫০ টাকা, স্টাফদের ৫টি মোবাইলফোন ও ২টি সোনার চেন লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে যাওয়ার সময় ডাকাতদল ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাংকের ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

গ্রামীণ ব্যাংকের মহারাজপুর ইউনিয়ন শাখার ম্যানেজার কামরুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ৮ জন অস্ত্রধারী ব্যাংকে আসে। তাদের ২ জন বাইরে থাকে। ৬ জন ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে। তাদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিলো। ডাকাতি শেষে তারা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দিয়ে কালীগঞ্জের দিকে চলে যায়। তিনি আরো জানান, ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সকলের জিম্মি করে ফেলে। অস্ত্র ধরে ভল্টের চাবি নিয়ে নেয়। কিন্তু ভল্ট খুলে কোনো টাকা পায় না। তখন ডাকাতদল ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলফোন ও সোনার গয়না লুট করে নিয়ে যায়।

ব্যাংকের স্টাফ সিদ্দিকুর রহমান জানান, অস্ত্রধারীরা ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে আলমারী খুলে সমস্ত কাগজপত্র তছনছ করে। তারা ভল্ট খুলে ফেলে। কিন্তু ভল্টে কোনো টাকা ছিলো না। শাখার স্টাফ শারমিন সুলতানা জানান, দুর্বৃত্তরা অফিসে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় ব্যাংকের ইউনিট ম্যানেজার কামরুল ইসলাম অফিসের কাজে বাইরে ছিলেন বলে তিনি জানান।  ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, এটা ডাকাতির ঘটনা নয়। নেশাখোরদের কাজ হতে পারে। এ ব্যাপারে মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ঝিনাইদহ গ্রামীণ ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিসের ইউনিট প্রধান (অবলোকন) ইসমাইল হোসেন জানান, তাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে দিন-দুপুরে জনবহুল বিষয়খালী বাজারে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হতবাক হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।