ফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে দামুড়হুদায় আধাবেলা হরতাল আজ

 

উপজেলা নির্বাচন বাতিল ও ইউএনও অপসণের দাবিতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংঠগনে বিক্ষোভসমাবেশ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় উপজেলা নির্বাচন বাতিল এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। সেইসাথে দামুড়হুদায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতালেরও ডাক দিয়েছেন তারা।

গতকাল সোমবার বেলা ৫টার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বর থেকে শুরু হয় এবং উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফ, অ্যাড. আবু তালেব, সেলিম উদ্দিন বগা, হযরত আলী, এসএম মহসিন, সাইফুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, আ.লীগ নেতা মতি, মুনসুর, যুবলীগ নেতা শামসুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু প্রমুখ।

সমাবেশে আজ মঙ্গলবার আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়ে বক্তারা বলেন, গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলামের বিজয়কে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে কৌশলে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আর ওই নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছেন জামায়াতের এজেন্ট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিল্টন। নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ না করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ওই নির্বাচন বাতিল করে বিশেষ করে (জগন্নাথপুর ও চন্দ্রবাস) পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে। যদি এর ব্যতিক্রম হয় পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান বলেন, আমার ওপর যে সমস্ত অভিযোগ চাপানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করার চেষ্টা করি। আমি কারো এজেন্ট নই এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবো না।

এদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আহূত এ কর্মসূচির বিষয়ে গতকাল বেলা ১২টার দিকে মাইকে প্রচারের পর থেকেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। বেলা ২টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেট বন্ধ করে দেয়া হয় এবং গেটের সামনে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়াও শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি উপজেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বেশ কয়েকবার টহল দিতেও দেখা যায়।