হিজলগাড়ির স’মিলে শিশুশ্রমিক মনোয়ার হোসেন রক্তাক্ত জখম

 

স্টাফ রিপোর্টার: বয়স যখন স্কুলে যাওয়ার, তখন যেতে হলো কাঠ চেরাই করা স’মিলে। অতোটুকু বয়সে কাট ফাড়াই করতে গিয়ে নিজের হাতের আঙুলগুলোই কেটে ফেলেছে মনোয়ার হোসেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ির মফিজ উদ্দীনের স’মিলে হাত কেটে রক্তাক্ত জখম হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।

মনোয়ার হোসেনের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হয়নি। সে হিজলগাড়ি বাজারপাড়ার ইউসুব আলীর ছেলে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাকে বিদ্যালয়ের বদলে যেতে হয়েছে স’মিলে। ৫/৬ মাস ধরে হিজলগাড়িরই মফিজ উদ্দীনের স’মিলে কাঠ চেরাইয়ের কাজ করে আসছিলো সে। গতকাল রোববার সকালে সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে গেলে কাঠের সাথে হাতের বৃদ্ধ আঙুল কেটে শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। অন্য আঙুলগুলোও শরীর থেকে বিছিন্ন হওয়ার উপক্রম। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মনোয়ার হোসেনের শয্যাপাশে থাকা লোকজন বলেছেন, দরিদ্র পরিবারে দু বেলা দু মুঠো খাবারের জন্যই তাকে কাঠ ফাড়াইয়ের কাজে যেতে হয়েছে। অতোটুকু বয়সে স’মিলে কাজে নেয়া হলো কেন? জবাব মেলেনি। কাজ করাতে গিয়ে হাতের আঙুল কেটে বিছিন্ন হওয়ায় শ্রম আইন অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। তা কি যথাযথভাবে পাচ্ছে সে? এ প্রশ্নেরও জবাব মেলেনি। মোনায়ার ও তার পিতা-মাতা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আইনগত অধিকারের কথা জানেন না।