সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের প্রতি সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ তালিকা তৈরির কাজে নিরপেক্ষতা বজায় রাখারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাইবার অপরাধ দমনের ওপরও বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশ দেন। সভা সূত্র জানায়, অনেকটা সময়জুড়ে সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা তৈরির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এ তালিকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে যারা হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং যারা তাদেরকে নেপথ্যে থেকে মদদ দিচ্ছে, তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা আলোচনা হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অফিস করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভবনের চারতলায় আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে বানানো তাঁর দপ্তরে ২০ মিনিটের মতো বসেন। বাকি সময় তিনি সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করেন।

সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেই তৃতীয় তলার সম্মেলনকক্ষে সভায় যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে প্রথমেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এরপর স্বরাষ্ট্রসচিব প্রজেক্টরের মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোর কাজের বর্ণনা দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা তাঁদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বিকেলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পুলিশের নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে এক হাজার ১০০ মানুষের জন্য একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। এখন প্রতি ৮০০ জনের জন্য একজন পুলিশ সদস্য রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সাইবার ক্রাইম রোধের ওপর বেশি নজর দিতে বলেছেন। যাঁরা সাক্ষ্য দেবেন তাঁরা যাতে নিরাপদ থকেন সেটা পুলিশকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা জানান, কারা বিভাগের মহাপরিদর্শক প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গাটিতে কী কী করা যায় সে বিষয় নিয়ে ভাবতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন দাবি করা হয়, সেখানে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার কারা স্মৃতি জাদুঘর রাখাসহ কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।