স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা এক অদ্ভুত হীরক রাজার দেশে বাস করছি। যেখানে এক ব্যক্তির খেয়ালখুশীতেই দেশ চলছে। যেখানে সত্যের পক্ষে কথা বলার কোনো অধিকার কারো নেই।
রোববার বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। এটি সরকারের চরম প্রতিহিংসামূলক জুলুম নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ বলে তিনি মন্তব্য করেন। রোববার এক সংবাদ বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার নিম্ন আদালতে হাজির হন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং দলের অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম। আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বেগম জিয়া বলেন, দেশবাসীর গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের পক্ষে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলার অপরাধেই দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে বেছে বেছে গুম, খুন ও পাইকারী হারে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে গোটা দেশকেই এক ভয়ঙ্কর বন্দীশালায় পরিণত করেছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে পালাক্রমে আটকে রেখে তারা তাদের সিংহাসনকে অবৈধভাবে আঁকড়ে থাকতে চাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা জনগণ থেকে এতো বেশি দূরে সরে গেছে যে, জনরোষ থেকে বাঁচতে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আবদুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই মানুষের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেনি, কারণ আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সবসময়ই অবজ্ঞা প্রদর্শন। স্বৈরাচারী নীতির কারণেই অতীতে তাদের পরিণতি ভালো হয়নি, আগামীতেও হবেনা। অবিলম্বে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুস সালামকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।