তিন লাখ কণ্ঠে একত্রে জাতীয় সঙ্গীত : সব আয়োজন চূড়ান্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার: একত্রে সর্বাধিক কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনন্য এক বিশ্ব রেকর্ড গড়ার উদ্যোগের সকল কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। আগামী ২৬ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তিন লক্ষাধিক কণ্ঠে একত্রে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড প্রস্তুত। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ইতোপূর্বে বাংলাদেশ সর্ববৃহত জাতীয় পতাকা তৈরি করে গ্রীনিচ বুকে নাম লিখিয়েছিলো। পরে পাকিস্তান তার চেয়ে আরও বড় পতাকা তৈরি করে আমাদের পেছনে ফেলে দিয়েছে। এবার আমরা এক সাথে তিন লক্ষাধিক লোক জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনন্য এক বিশ্ব রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, অতীতে কোনো দেশ এক সাথে এতো লোকে জাতীয় সঙ্গীত গায়নি। এই উদ্যোগ সফল করতে তিনি দেশের সর্বস্তরের জনগণকে আহবান জানিয়েছেন।
আগামী ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় তিন লক্ষাধিক লোক একযোগে জাতীয় সঙ্গীত গাইবে। অনন্য এই বিশ্ব রেকর্ড গড়া এবং গ্রীনিচ বুকে বাংলাদেশের নাম ওঠার সাথে যারা নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চান তারা এতে অংশ নিতে পারবেন। দেশের যে কোনো স্থান থেকে এসে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়া যাবে। এ লক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হবে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ। চলবে সকাল ৮টা পর্যন্ত। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের গেট থেকে প্রতি ৫০ জনের একটি করে দল গঠন করে ঢোকানো হবে। প্রতিটি টিমে থাকবেন একজন করে সমন্বয়ক। এই সমন্বয়ক হবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। সমন্বয়কের নের্তৃত্বে তারা গ্রাউন্ডে প্রবেশ করবে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ। পরে ৩ মার্চ ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা শেষে ঘোষিত ইশতেহারে “আমার সোনার বাংলা” গানের প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে প্রথম গাওয়া হয়।

এ লক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ যারা এই ইতিহাসের সাক্ষী হবেন তাদের প্রবেশের জন্য থাকবে আলাদা প্রবেশদ্বার। নির্ধারিত এই প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে ঢুকে সমন্বয়কদের দেখানো স্থানে সকলে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করবে। কাউন্টারের সহায়তাকারীর কাছ থেকে নির্ধারিত ব্যগটি বুঝে নিয়ে নির্ধারিত সেনা সদস্যের সহায়তা নিয়ে নির্দিষ্ট ব্লকে রিপোর্ট করতে হবে। সকাল ১১টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এ কাজের প্রস্তুতির মধ্যে আরও রয়েছে, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার। সরকারের উদ্যোগে তা চলছে। অনুষ্ঠানের পূর্ব পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এছাড়া প্রচারের স্বার্থে এতে ব্যক্তিগতভাবে সকলকে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।