মাদার তেরেসা শাইনিং পার্সোন্যালিটি অ্যাওয়ার্ড লাভে চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সংবর্ধিত

 

 

 

অসংখ্যা ফুলেল শুভেচ্ছা : জনসেবায় জীবনের বাকি দিনগুলো উৎসর্গ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: অসংখ্য ফুলেল সুভেচ্ছা আর রকমারি উপহারে আবেগ আপ্লুত চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তার ইউনিয়নবাসীর সেবায় জীবনের বাকি সময়গুলোও উৎসর্গ করার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ইউনিয়নবাসীর সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফুলেল শুভেচ্ছা আর এলাকাবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত জিল্লুর রহমান বলেন, ভালো কাজ করার স্বীকৃতি আরো ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করে। অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় ইউনিয়নবাসীর আয়োজন আমাকে তারা যেন নতুন করে দায়িত্বের বাঁধনে আরো শক্ত করে বাঁধলো। যে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি তা মূলত ইউনিয়নবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায়। সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকলে চিৎলা ইউনিয়নকে উন্নয়নের মডেলে রূপান্তর করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সম্প্রতি মাদার তেরসা শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪ ভূষিত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। ইউনিয়নবাসীর পক্ষে তাকে সংবর্ধিত করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি সরদার আল আমিন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লর রহমানকে সংবর্ধিত করায় ইউনিয়নবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে জিল্লুর রহমান যে দায়িত্বে অধিষ্ঠিত, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন বলেই স্বীকৃতি মিলেছে। যেকোনো স্বীকৃতি আরো দায়িত্বশীলকে আরো দায়িত্বশীল করে তোলে। যে স্বীকৃতি তথা সম্মানের সাথে মাদার তেরেসার নাম যুক্ত, সেই সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে জিল্লুর রহমানকে আরো জনদরদী হতে হবে, হতে হবে আরো দায়িত্বশীল। সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করতে পারলে তার জনপ্রতিনিধি হওয়ার উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।

চিৎলা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি লিহাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন জেলা যুবলীগ যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. আফসার উদ্দীন কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা, আফসার উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ মাহাববুর রহমান সেলিম, গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, জনকণ্ঠ ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি রাজীব হাসান কচি, এটিএন বাংলা প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের সহসম্পাদক রফিক রহমান, দিগন্ত টিভি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বিপুল আশরাফ, এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক আব্দুস সালাম, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মণ্ডল, গোকুলখালী বাজার কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক, জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নূরুল ইসলাম, প্রত্যাশা’র নির্বাহী পরিচালক বেলাল হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন, সিএইচআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলু, জেলা যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম, গাংনীর সাবেক চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, ওহিদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা ও কুলপালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দীন এবং কুলাপালা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি আব্দুল বাতেন। অতিথিসহ স্থানীয় সুধীদের মধ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা জিল্লুর রহমানের কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা করেন।

ফুল দিয়ে যেসব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের তরফে শুভেচ্ছা জানানো হয়, তার মধ্যে রয়েছে, ভালাইপুর মোড় বাজার উন্নয়ন কমিটি, ইটভাটা মালিক সমিতি, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদ, ডা. আফসার উদ্দীন কলেজ, হাঁপানিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিএইচআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোকুলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়রাডাঙ্গা সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়, আইন্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিৎলা রুইথনপুর সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়, হাঁপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিৎলা ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, হাটব্যবসায়ী সমিতি, কয়রাডাঙ্গা ক্লাব, জনকল্যাণ সংস্থা, প্রত্যাশা, ভালাইপুর যুব সমিতি, ইউনিয়নর ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শেখ মনি স্পোর্টিং ক্লাব, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, চিৎলা আওয়ামী লীগসহ ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।