টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর শুরু আজ

ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইতঃপূর্বে চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে অত্যন্ত সফলভাবে। ২০১৪ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসরের আয়োজক বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ আসরের উদ্বোধন করেন। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপেরও যৌথ আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ। আজ রোববার বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার খেলাটি দিয়ে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের টুর্নামেন্ট। গত কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়াকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। কোনো রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সফলভাবে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা ক্রিকেটকে ভালোবাসে প্রাণভরে। জাতীয় খেলা না হলেও বাংলাদেশে ক্রিকেটের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।

১৯৯৭ ওয়ানডে এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দে টেস্ট ক্রিকেট মর্যাদা বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে নতুন মাত্রা যোগ করে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ ক্রিকেটে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

মূলত কয়েকটি পর্বে এ আয়োজন সম্পন্ন হবে। মাসব্যাপি এ মহোত্সবে কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে স্বাগতিক দেশকে। বিদেশি খেলোয়াড় এবং আগত দর্শকদের নিরাপত্তা প্রদান, কোনোরূপ অনিয়ম যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা, খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা আছে এমন আবাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি। এর মধ্যে খেলোয়াড় এবং আগত অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বাগ্রে জরুরি। লক্ষ্য করা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বেশ সচেতন। তৈরি করা হয়েছে কয়েকস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনি। তবু শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিকল্প নেই। খেলা চলাকালীন যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না সৃষ্টি হয় সেদিকেও মনোযোগ রাখতে হবে। খেলার বড় বড় আয়োজনে টিকেট কালোবাজারি হয়ে থাকে। এর প্রতিরোধেও যথেষ্ট পর্যবেক্ষণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বাঞ্ছনীয় বলে আমরা মনে করি। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে নিরাপত্তা ও নিয়ম-শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ সেল গঠন করা যেতে পারে। ঢাকার বাইরে ভেন্যুসমূহেও উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক এবং নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকল্প নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে কোনোরকম গাফিলতি ব্যতিরেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সারাবিশ্ব এ দেশের মানুষের ক্রিকেটীয় আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রত্যক্ষ করবে এ আয়োজনের মাধ্যমে। এ আয়োজনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের ক্রিকেট ভাবাবেগ ও ইতিহাসে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেতে পারে ক্রিকেটের প্রিয়ভূমি হিসেবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট পৌঁছে যাবে অনন্য এক উচ্চতায়। আগামীতে ক্রিকেট বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে আমাদের বাংলাদেশ। জয় হউক ক্রিকেটের। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ক্রিকেট।