হারদী কলেজের পাশে বোমা রাখা আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে চাঁদাবাজি ও ইটভাটায় চাঁদাবাজি
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: হারদী গাংপাড়া থেকে চাঁদাবাজ-বোমাবাজ তৌফিককে (২০) আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কৌশলে গ্রেফতার করেছে। গোপনসূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ তৌফিকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে। হারদী কলেজের পাশে বোমা রাখা, আলমডাঙ্গা শহরের একতা ক্লিনিকে চাঁদাবাজি ও হারদী স্টোন ব্রিক্সে চাঁদার দাবিতে বোমা রেখে ত্রাস সৃষ্টিসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশসুত্রে জানা গেছে, গত দু দিন আগে আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামে অবস্থিত স্টোন ব্রিক্স নামের ইটভাটা মালিক নাসিমের নিকট অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে চরমপন্থি দলের নেতা দাবি করে চাঁদা চায়। তার চরমপন্থি দলের অসুস্থ কয়েকজনের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন জানিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশে ওই ইটভাটায় একটি বোমা রেখে যায়। এ ঘটনায় যে মোবাইল থেকে চাঁদা চাওয়া হয়েছে, সেই মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাকিঙের মাধ্যমে পুলিশ মোবাইলফোনের সিম নম্বর ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করে। পুলিশ নিশ্চিত হয় হারদী গ্রামের গাংপাড়ার রাশিদুলের ছেলে তৌফিকই ওই চাঁদাবাজির নায়ক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তৌফিকের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য নিয়ে গতকাল সকালে হারদী গাংপাড়ায় অভিযান চালায়। আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তৌফিককে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তৌফিক শুধু হারদীর স্টোন ব্রিক্সে চাঁদার দাবিতে বোমা রেখে যাওয়া ঘটনার নায়কই নয়, প্রায় মাসখানেক আগে সে আলমডাঙ্গা শহরের একতা ক্লিনিকের মালিক লিপুর নিকট থেকেও চাঁদা আদায় করেছে। এছাড়া সে হারদী কলেজের নিকট ব্যাগে বোমা রাখা মামলারও আসামি। ওই মামলায় বর্তমানে সে জামিনে আছে।
গ্রামের একাধিকসূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত তৌফিকের পিতা রাশিদুল ইসলামকেও চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকবার পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো।