বাংলাদেশের হুমকি আফগানিস্তান নাকি হংকং!

স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, হংকং ও নেপাল। এ তিন দলের প্রস্তুতি ম্যাচের ফলের দিকে পাখির চোখ ছিলো বাংলাদেশের। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তান যথেষ্ট ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৫০ করে জিতেছিলো। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারলেও ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিলো। আর এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের জয়ের স্মৃতি তো এখনো টাটকাই। তবে চমকের বিষয় হলো, আফগানরা যখন হুংকার দিচ্ছেই, সেই ফাঁকে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাইছে পুঁচকে হংকংও! বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী এশিয়ার এ দলটি কিন্তু জিতেছে দুটি ম্যাচই। শুধু তা-ই নয়, প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে চমকে দেয়া হংকং হারিয়েছে হল্যান্ডকেও! বাংলাদেশকেও দিয়ে রাখলো একটা সতর্কবার্তা।

একই মাঠে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। টসেজিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগান ব্যাটসম্যানরা এদিনও নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬৮। মোটামুটি সব ব্যাটসম্যানই মাঝারি ইনিংস খেলায় ভালো স্কোর পায় আফগানরা। কিন্তু ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ঝোড়ো ইনিংসের সামনেই মূলত কুপোকাত আফগানরা। জিম্বাবুয়ের এ ডানহাতি ওপেনার হামজা হোতাকের বলে ফেরার আগে করেছেন ৫২ বলে ৯৩। মাসাকাদজা ও সিকান্দার রাজার উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছে ১০২ (১০.২ ওভারে)।

নেপাল অধিনায়ক পরশ খড়কা কদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আমরা এখানে এসেছি নেপালকে বিশ্বমঞ্চকে তুলে ধরতে। প্রস্তুতি ম্যাচে নেপালের ধার অবশ্য বোঝা গেল না। ফতুল্লায় গতকাল আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২০ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয়েছে খড়কার দল। ৭ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে হারিয়ে জয়ের দেখা পেয়ে যায় আমিরাত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ করেন স্বপ্নিল পাতিল। বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গীদের মধ্যে কেবল নেপালই যা একটু স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে!