চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে নসিমন-আলমসাধু দুর্ঘটনায় লোকনাথপুরে শিশু ও কালীগঞ্জে মহিলা নিহত

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার লোকনাথপুরে ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পৃথক এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। অবৈধ পরিবহন নসিমন ও আলমসাধু দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদার লোকনাথপুর গ্রামের আলমসাধু (শ্যালোইঞ্চিনচালিত গাড়ি)’র ধাক্কায় ৪ বছর বয়সী এক শিশুর করুন মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি আলমসাধু লোকনাথপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে কাদিপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্কুলের সন্নিকটে পৌঁছুলে রাস্তার পাশে ছানোয়ারের ছেলে মোজাহিদ (৪) রাস্তা পার হচ্ছিলো। এ সময় দ্রুতগামী একটি আলমসাধু তাকে ধাক্কা দেয়। সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। তার লাশ বাড়িতে আনা হলে পিতা মাতাসহ প্রতিবেশীদের কান্নায় বাতাস ভাড়ি হয়ে ওঠে। একমাত্র পুত্রকে হারিয়ে পিতা-মাতা পাগল প্রায়। বিকেলে তার লাশের দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। এলাকাবাসী আলমসাধু চালককে বেধড়ক মারপিট করে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নসিমনের ধাক্কায় সাহেরা বেগম (৫৫) নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ফরাসপুর গ্রামের মৃত হারান বিশ্বাসের স্ত্রী।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মনিরউদ্দীন মোল্লা জানান, গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাহেরা বেগম ডাক্তার দেখানোর জন্য কালীগঞ্জ শহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে শহরের বৈশাখি তেলপাম্প মোড়ে রাস্তার পারাপারের সময় একটি নসিমন তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় ওপর ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে দুপুরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ ঘাতক নসিমনটি আটক করতে পারেনি।