চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি সড়কের সরকারি গাছ উধাও হয়ে যাচ্ছে

 

চোরচক্র প্রকাশ্যে গাছ কাটলেও প্রশাসন নির্বিকার

মারুফ হোসেন/রহমান রনজু: চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি সড়কের গাছ প্রকাশ্যে চুরি হয়ে যাচ্ছে। চোরচক্র প্রতিনিয়ত সরকারি গাছ কেটে নিয়ে গেলেও প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া সড়কের আপন আটা ফ্লাওয়ার মিলের সামনে গতকাল প্রকাশ্যে একটি চক্র করাত দিয়ে গাছ কাটছিলো। দৈনিক মাথাভাঙ্গার এক সাংবাদিক ছবি তুললে ওই চোরেরা সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। পরে পথচারীদের প্রতিবাদের মুখে সাংবাদিক পার পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলুকদিয়া সড়কের হাতিকাটা এলাকার আপন আটা ফ্লাওয়ার মিলের সামনের একটি সরকারি শিলকড়ুই গাছ করাত দিয়ে প্রকাশ্যে কাটা হাচ্ছিলো। চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা আবাসনে বসবাসকারী মৃত রতন আলীর ছেলে সজল আলী (৩০) ও মৃত রহম আলীর ছেলে জামাল আলী (৩১) করাত দিয়ে বড় গাছের ডাল কাটছিলেন। এ সময় দৈনিক মাথাভাঙ্গার এই প্রতিবেদক ছবি তোলেন। এ কারণে ওই দু গাছচোর গাছ থেকে নেমে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেন। এ সময় কয়েকজন পথচারী ছুটে এসে সাংবাদিককে রক্ষা করেন। এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, সজল ও জামালের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের গাছ চুরি করে বিক্রি করছেন। গাছগুলো দেখলেই বোঝা যায় রাস্তার গাছগুলোর ওপর চোরচক্র কীভাবে হামলে পড়েছে। মাসের পর মাস লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ চুরি অব্যাহত থাকলেও কোনো চোরকে পুলিশ আটক করতে পারে না। এমনকি এদের বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো অভিযানও পরিচালিত হয় না। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী।

একই দশায় পরিণত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের গাছ। চুয়াডাঙ্গা ছাগলফার্ম থেকে শুরু করে বোয়ালমারী পর্যন্ত রাস্তার দু ধারের শ শ গাছ দিনে-রাতে সমানে হারিয়ে যাচ্ছে। চোরচক্র দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এসব গাছ কেটে থাকে। রাস্তায় প্রশাসনের লোকজন চলাচল করলেও তাদের চোখে এসব পড়ে না। ইতোমধ্যে এ সড়ক থেকে কয়েক শ গাছ চুরি হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আর কয়েক মাসের মধ্যে এ সড়কের গাছ চোরদের পেটে হজম হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তাদের প্রশ্ন, চোরচক্রের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এ যেন এক রহস্য। কার ইশারায় চোরচক্র লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ লোপাট করছে তা জানতে চায় এলাকাবাসী।