৪ বছরের শিশু নীরবের মর্মান্তিক মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার: ওষুধ গলায় বিধে চিরতরে নীরব হয়ে গেলো মোহাম্মদজমা গ্রামের শিশু নীরব। গতকাল সকালে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে। মা নীলা বেগম একত্রে কয়েকটি ট্যাবলেট এক সাথে খাওয়ানোর সাথে সাথেই নীরব মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নীরবের আকস্মিক এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদজমা মাঝের পাড়ার দরিদ্র ভ্যানচালক মানোয়ার হোসেনের একমাত্র সন্তান নীরব রহমানের বয়স ৪ বছর। গত দুদিন আগে নীরবের পিতা মানোয়ার হোসেন (৩০) ও নীরব জ্বলে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধও আনা হয়। তবে ছেলে এবং বাবা একই ওষুধ খাচ্ছিলো। মানোয়ার হোসেন গতকাল সকালে ভ্যান নিয়ে রোজগারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। যাওয়ার সময় স্ত্রীকে বলে যান নীরবকে ওষুধগুলো খাইয়ে দিতে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে কয়েকটি বড় বড় ট্যাবলেট একত্রে ছেলে নীরবের গালে দিয়ে খেতে বলেন মা নীলা বেগম। নীরব গালে নিয়ে গিলতে গেলে ট্যাবলেট গলায় বিধে যায়। এর কয়েক মিনিটের মাথায় নীরব মারা যায়। কেউ কেউ বলেছেন, গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার আব্দুল রশিদের নিকট নিলে তিনি অ্যাজিথ্রমাইসিন-৫০০ মিলি গ্রাম হাপ করে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। সকালে ওই ওষুধ সেবন করানোর কিছুক্ষণ পরই বুকে ব্যথা অনুভব করে নীরব। এর ১০ মিনিট পরই তার মৃত্যু হয়।
একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে শোকে হতবিহবল হয়ে পড়েন পিতা-মাতা। নীরবের আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা ছুটে আসে নীরবকে দেখতে। দেখতে আসে নীরবের খেলার সাথিরা। সবার চোখেই পানি। অনেকেই বলছেন পিতা-মাতার অসাবধানতাই মৃত্যুর কাল হলো নীরবের। ট্যাবলেট না খাইয়ে তাকে সিরাপ খাওয়ানো উচিত ছিলো বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন।