মজুর জোরদার প্রচারণা : মাঠে থাকছেন জেনারেল ও সিজার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষণা এবং

স্টাপ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মজিবুল হক মজু। তিনি সমর্থন লাভের পর প্রচার প্রচারণায় জোর দিয়েছেন। অপরদিকে সমর্থন না পেয়ে ক্ষুব্ধ পত্রিকায় ব্যক্ত করে প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি শ্রমিকদল নেতা এম জেনারেল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের সাথে একত্মতা ঘোষণা করে অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, রেজাউল করিম মুকুট, অ্যাড. আব্দুল ওহাব মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে বিএনপির অপর পক্ষের এমএম শাহজাহান মুকুল প্রতিদ্বদ্বিতা থেকে সরেননি। রউফুন নাহার রীনা প্রতিদ্বদ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আবু বক্কর সিদ্দিক বকুলও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

এম জেনারেল ইসলাম প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেছেন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক শামজুজ্জামান দুদুর যুক্ত বিবৃতি পড়ে চরম হতাশ হয়েছি। আমার জানামতে বিবৃতিটি দুজনের মনগড়া ও একতরফা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন নয়। ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড নেতাদের সাথে প্রতারণার সামিল। ওই বিবৃতি আমি প্রত্যাখান করছি। গত ১০ মার্চ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ঢাকায় অবস্থানের কারণে সহসভাপতি হিসেবে আমিই সভাপতিত্ব করি। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপি নেতাদের মধ্যে ৬ জন যদি নিজেরা আলাপ আলোচনা করে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে না পারে তা হলে ১১ মার্চ বিকেলে ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু তা না করে শামসুজ্জামান দুদু ও তার একান্ত অনুগতদের সাথে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। যা আমি প্রত্যাখান করছি। একই সাথে আমি আমার চেয়ারম্যান প্রার্থিতা বলবৎ রাখছি। জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিজারও অভিন্ন অভিমত ব্যাক্ত করে বিবৃতি দিয়েছেন।

এদিকে জেলা বিএনপির সমর্থন লাভের পর মজিবুল হক মজু গতকাল সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়সহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। তিনি পিরোজখালী, খাজুরা, পদ্মবিলা, সুবদিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের সাথে খোলামেলা কথা বলেন। গণসংযোগকালে তার সাথে ছিলেন পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি প্রভাষক আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবুল, জেলা ওলামাদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, বিএনপি নেতা ডা. আব্দুল বারী, যুবদল নেতা সুজনসহ অনেকে।