বাজার গোপালপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ

 

ঝিনাইদহ অফিস: ১২ মার্চ ২০১৪ ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকরে গোপনে কমিটি গঠন, কর্মকাণ্ডে চরম অবহেলা এবং তার কর্মকাণ্ড কোনো ভাবেই শিক্ষক সুলভ নয় বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তটিম। অভিযোগের ভিত্তিতে ০৫. ৪৪. ৪৪০০ .০১৩. ০৫. ০০১.১৩.৭৮৯ সূত্র অফিস আদেশ মোতাবেক ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. যুবায়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, অভিযোগকারীগণ এবং বিপুল সংখ্যক স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার মধুহাটি উইনিয়নের বাজার গোপালপুর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্বচনের জন্য গত বছর ১০ এপ্রিল স্থানীয় পত্রিকায় নির্বচনী তফশিল বিজ্ঞপ্তি আকারে ছাপা হয়। সে মোতাবেক ১০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করে এবং ৬ মে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণারা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের পছন্দের লোকজন কমিটিতে আসতে পারবেনা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন বন্ধের জন্য মনোনয়ন পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়েছে এ মর্মে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। যার নং ১১৮৫ এবং তাং ২২/৪/১৩ ইং। এ বিষয়ে নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করলে পূনঃরায় কার্যক্রম শুরু করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, এলাকায় মাইকিং এবং নির্বাচনে পূর্বে মনোনয়ন ক্রয়কৃতদের অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে যশোর থেকে প্রকাশিত একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন ও এলাকায় মাইকিং এবং পূর্বে মনোনয়ন ক্রয়কৃতদের আবহিত না করে গোপনে কমিটির গঠনের কার্যক্রম চালাতে থাকে। বিষয়টি অভিভাবকগণ জানতে পারলে প্রধান শিক্ষকের নিকট যান এবং কমিটি গঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুর্ঘটনা ক্রমে কাগজপত্র হারিয়ে গেছে কমিটি গঠনের সময় আপনাদের জানানো হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার অনুগতদের নিয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে জানতে পেরে আভিভাবকগণ তার বিরুদ্ধে গোপনে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগ দাখিল করলে তদন্তটিম মঈন উদ্দিনের কর্মকাণ্ড কোনো ভাবেই শিক্ষক সুলভ নয়, কমিটি গঠনের জন্য যে কাজটি করার কথা ছিলো তা পুরোপুরিই ব্যর্থ, স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে চরম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন এবং সার্বিক বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল করেছেন প্রতিবেদন। স্কুলের ছাত্র অভিভাবক ফয়েজ উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে কমিটি গঠন নিয়ে প্রতারিত করেছে। কমিটি গঠনের বিষয় সম্পর্কে তাদের যেমন জানানো হয়নি তেমনি মনোনয়ন পত্যাহারের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা এবং কিছু লোকজন তার মর্যাদাহানী ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ কামরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নয়। যেহেতু জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হয়েছে। তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারাই গ্রহণ করবে। তবে বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি জানান।