আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৯ মাস জেল খেটে বের হতে না হতেই আলমডাঙ্গা শহরের রহমান পুলিশের ছেলে ইমরান আবারও ঘটিয়েছে অঘটন। গত রোববার সন্ধ্যারাতে শহরের সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের নিকট বেকারি ব্যবসায়ী রকির মোটরসাইকেল রামদা দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করে ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মোটরসাইকেল ও টাকার ব্যাগ ফেলে রকি পালিয়ে বাঁচে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধামের মুসলিম বেকারির মালিক কলেজপাড়ার বাবলুর ছেলে রকি গত রোববার বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে বেকারি ব্যবসার পাওনা টাকা আদায় করার এক পর্যায়ে এশার নামাজ আদায় করেন শহরের বড় মসজিদে। নামাজ পড়ে বের হয়ে রথতলা হয়ে টকিজ সিনেমা হলের নিকট রবিউলের দোকানে যাওয়ার সময় সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের নিকট থেকে মসজিদপাড়ার রহমান পুলিশের ছেলে ইমরানসহ (২০) ৩ জন রকির পথরোধ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে রামদা দিয়ে তাড়া করে। অবস্থা বেগতিক দেখে রকি পালিয়ে যায়। এ সময় রকির ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি রামদা দিয়ে ইমরান কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে মোটরসাইকেলে রাখা টাকার ব্যাগে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।
৭/৮ মাস আগে রথতলা থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাওয়ার সময় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধরতে তাড়া করে। মেয়েটি দৌঁড়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা জানায়। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানকে ৯ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ৬ মাস জেল খেটে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আবারও সে এ ঘটনা ঘটায়। এর আগে ইমরানের বাড়ি থেকে র্যাব ৭০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিলো।