দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে প্রবাসীর বাড়িতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার এজেহার নামীয় আসামি বিষ্ণুপুরের মৃত আলম মণ্ডলের ছেলে নালুকে (৩০) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আহসান হাবীবের নেতৃত্বে এসআই আফজাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিষ্ণুপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটক নিলুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল মালয়েশিয়া প্রবাসী বিষ্ণুপুর গ্রামের জামাই জসিমের বাড়িতে হানা দিয়ে দেড় লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাড়ির লোকজনের হইজাকারে গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করলে ডাকাতদল গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটি বিস্ফোরিত না হলে ডাকাতদল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং বাড়ির অদুরবর্তী পানবরজের মধ্য থেকে গ্রামবাসী ডাকাতসর্দার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত খোকাই মণ্ডলের ছেলে কুদ্দুসকে পাকড়াও করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন দুপুরে প্রবাসীর শ্বশুর লিয়াকত আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা মোট ১০/১২ জনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাকাতসর্দার কুদ্দুসকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক দু দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডাকাতসর্দার কুদ্দুসকে দু দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে বেশকিছু চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশকে জানায় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে দেয়। ডাকাতসর্দার কুদ্দুস জেলহাজতে থাকলেও অন্যান্য আসামিরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামি নালুকে অবশেষে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলো। মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিরা হলো উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ফজলুর ছেলে শিমুল, একই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে জামাল, আশাজামালের ছেলে হামিদুল, গোপালপুর গ্রামের কাজল ও ইব্রাহিমপুর গ্রামের মিতু।