স্টাফ রিপোর্টার: চ্যানেল ও অনলাইন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে অল্পদিনের মধ্যেই। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, দেশে ৩১টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর বাইরে সরকারি রয়েছে ৩টি চ্যানেল। বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য এখনও পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। তবে নীতিমালা তৈরির কাজে সরকার হাত দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন ও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সাথে পরামর্শক্রমে নীতিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশা করছি নতুন সরকার অল্পদিনের মধ্যেই বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বর্তমানে কোনো নীতিমালা নেই। তবে এ গণমাধ্যমের জন্য অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক নীতিমালা নামে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। গণমাধ্যম স্বাধীন, সরকারের হস্তক্ষেপ নেই চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু জানান, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম বান্ধব এবং এর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি গণমাধ্যমের বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। জাতীয় পার্টির (জাপা) কাজী ফিরোজ রশীদ ও যশোর-৫ আসনের স্বপন ভট্টাচার্যের পৃথক দুই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারের তালিকভূক্ত ১ হাজার ১৮৭টি পত্রিকা রয়েছে। এছাড়া ৭৫টি অনলাইন গণমাধ্যম রয়েছে। ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র এমপি হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দর্শকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচারের মান ও উত্কর্ষ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছে। অনুষ্ঠানের চেয়ে বিজ্ঞাপন বেশি প্রচারের কারণে দর্শকরা বিটিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের দিকে ঝুঁকছে, এটা সত্য নয়।