শিশু নির্যাতনকারী ডা. রত্নার দু দিনের রিমান্ড

 

স্টাফ রিপোর্টার: গৃহপরিচারিকা শিশু আসমাউল হুসনাকে নির্যাতনকারী ডা. রত্নাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার তাকে পুলিশ রিমান্ডে নেয়। গতকাল রোববার তার রিমান্ড শেষ হয়েছে। পুলিশ স্কোয়াড দিয়ে ডা. রত্না ও স্বামী প্রকৌশলী রেজাউল করিমকে গত ৪ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে ঢাকায় নেয়া হয়। হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় পরদিন  তাদেরকে সিএমএম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার প্রফেসর শমসের আলীর মেয়ে ডা. জান্নাতুল বাকী জান্নাত রত্না ঢাকার ধানমণ্ডিতে ভাড়ার বাসায় বসবাস করেন। বছরখানেক আগে তার শিশুসন্তানকে দেখভালের জন্য গৃহপরিচারিকা হিসেব চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির শ্রমিক শহিদুল ইসলামের মেয়ে আসমাউল হুসনাকে (৯) নিয়ে যান তিনি। ঢাকায় নেয়ার কিছুদিনের মাথায় শিশু হুসনার ওপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। কারণে অকারণে ডা. রত্না তার ওপরে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করতেন। এ পরিস্থিতিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে তার পিতা-মাতার হাতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু মেয়ের চেহারা আর সারা শরীরজুড়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে হতবাক হয়ে যান হুসনার মা-বাবা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত নির্যাতনকারী ডা. জান্নাতুল বাকী জান্নাত রত্না ও তার স্বামী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেন নির্যাতিত শিশু হুসনার মা শিল্পী খাতুন। ওইদিনই সদর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে পরদিন ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করে।