লাউচাষ করে আর্থিকভাবে সাবলম্বি হচ্ছে অনেকেই
মো. শাহাবুদ্দিন/শরিফ রতন: চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় চলতি চাষ মরসুমে ব্যাপকহারে সবজিচাষ করেছে কৃষকরা। এসব সবজিচাষ করে ভালো লাভবান হচ্ছে। সবজির মধ্যে হাইব্রিড জাতের লাউচাষ করে বেশি আর্থিকভাবে লাভ হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি মরসুমে চুযাডাঙ্গা জেলায় ৭ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ হয়েছে এর মধ্যে সদরে ৩ হাজার ১৫০ হে., আলমডাঙ্গা ৮৫০ হে., দামুড়হুদা ১ হাজার ৫৬৫ হে., জীবননগর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ফুল ও বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, লালশাক, পুঁইশাক, ডেড়স, পালনশাক, শীমসহ অন্যান্য সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ময়না ও ডায়না জাতের লাউ আবাদ করে চাষিরা বেশি লাভবান হচ্ছে। এসব সবজি জেলার ঘাটতি মিটিয়ে শ শ টন ট্রাকযোগে ঢাকায় বিক্রি করা হয়ে থাকে। বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়। লাগানোর এক মাস পর থেকে লাউ ধরতে শুরু করে।
জয়রামপুর গ্রামের চাষি হায়দার আলী জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে লাউচাষ করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হয়েছে আরও ১০/১৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি হবে। এ লাউ আবাদ করতে তার খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ২০/২৫ হাজার টাকা। একই গ্রামের সফল সবজিচাষি ৪বিঘা জমিতে একই জাতের লাউচাষ করেছে। এ পর্যন্ত সে প্রায় ৩ লাখ টাকার লাউ বিক্রি করেছে। এখনও জমি থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করবে। সে ৬ থেকে ৭ বছর ধরে আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজি আবাদ করে আসছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপিরচালক হরিবুলা সরকার মাথাভাঙ্গাকে জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ব্যাপকহারে সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এখানকার সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি হয়ে থাকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সবজি আবাদ করলে চাষিরা অল্প জমি থেকে বেশি লাভ করতে পারে। তবে এসব সবজিচাষ করার জন্য উপজেলা পর্যায়ে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো। তিনি সঠিক সময়ে কৃষি অফিসের পরামর্শে লাউসহ অন্যান্য চাষ করার আহ্বান জানান।